

দেশের সংশোধনাগারগুলি আধুনিকীকরণের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এর আগের বাজেটেও একই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হলেও, পরে সেটি সংশোধন করে ৭৫ কোটি করা হয়েছিল।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংশোধনাগার আধুনিকীকরণের জন্য প্রথমে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও, পরে সেটি কমিয়ে ৭৫ কোটি টাকা করা হয়। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারাগার আধুনিকীকরণের জন্য সরকার বরাদ্দ করেছিল ৮৬.৯৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় কারাগারগুলির গুরুত্ব তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ এটি কার্যকর কারা ব্যবস্থাপনা এবং সংশোধনমূলক প্রশাসনকে উচ্চ গুরুত্ব দেয়। ২০২৩ সালের মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিস্তৃত 'মডেল প্রিজনস অ্যাক্ট' চূড়ান্ত করেছিল। যার মধ্যে ছিল - উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন কারাগার, উন্মুক্ত কারাগার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা এবং কঠোর অপরাধী এবং অভ্যাসগত অপরাধীদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে সমাজকে রক্ষা করা সংক্রান্ত বিধান।
এর কার্যক্রমের মধ্যে ছিল - জেলবন্দীদের আইনি সহায়তা, প্যারোলের বিধান, ভাল আচরণকে উৎসাহিত করার জন্য ফার্লো এবং অকাল মুক্তি ইত্যাদি। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং বন্দীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং সমাজে তাদের পুনঃএকত্রিতকরণের উপর জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ ছিল এই অ্যাক্টে।
প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে 'বন্দীদের জন্য কল্যাণ কর্মসূচি' এবং 'আফটার-কেয়ার অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সার্ভিসেস'-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৩ সালে বলেছিলেন, দক্ষ জেল ব্যবস্থাপনা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত সরকার এই বিষয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উচ্চ মাত্রায় গুরুত্ব দেয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন