

এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরবর্তী লাভজনক সংস্থাগুলি বিক্রির পথে অগ্রসর হল কেন্দ্র। প্রথমেই ভারত পেট্রলিয়াম, শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, কন্টেনার কর্পোরেশন, স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সেইল), হিন্দুস্তান কপারের মতো সংস্থার সম্পূর্ণ অথবা আংশিক বিক্রি হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। আগামী সপ্তাহ থেকেই এব্যাপারে মাঠে নেমে পড়তে চলেছে অর্থমন্ত্রকের বিলগ্নিকরণ বিভাগ। ছ’মাসের মধ্যে এই পর্ব চুকিয়ে ফেলাই লক্ষ্য মোদি সরকারের।
এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করতে নেমে সমস্যায় পড়তে হয় কেন্দ্রকে। ৬১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকার ঋণের বোঝা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কিনবে, এমন ক্রেতা পেতে নাজেহাল হতে হয় সরকারকে। অবশেষে ১৮ হাজার কোটি টাকায় মোদি সরকারকে দায়মুক্ত করেছে টাটা গোষ্ঠী। প্রায় ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ বহন করবে টাটা। বাকি ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা নগদ পাবে কেন্দ্র। ৪৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকার ঋণ মেটাবে কেন্দ্র। যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার সম্পত্তি, বিল্ডিং, হোটেল ইত্যাদির মালিকানা কেন্দ্রের হাতেই থাকছে। ৬৮ বছর পর সেই টাটা গোষ্ঠীর হাতে এয়ার ইন্ডিয়াকে সমর্পন করছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের আশা, এয়ার ইন্ডিয়া হস্তান্তর সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে।
বিপিসিএল, শিপিং কর্পোরেশনের মতো সংস্থা কে কিনবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। জানুয়ারি মাসেই এলআইসির শেয়ার বিক্রি এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি নীলাচল ইস্পাত লিমিটেড, পবন হংস এবং বিইএমএল, অন্তত দু’টি ব্যাঙ্ক এবং একটি সরকারি বিমা সংস্থা বিলগ্নিকরণের কথা ভাবা হয়েছে। অর্থমন্ত্রক ঠিক করেছে, আগামী দিনে সরকারের হাতে কয়েকটি মাত্র ব্যাঙ্ক থাকবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন