
এবার এনফোর্স ডিরেক্টরেট (ইডি) –কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করল বোম্বে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, কোনও তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। আইনের পরিধির মধ্যে থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে কাজ করার কড়া বার্তা দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অযৌক্তিক কারণে আর্থিক তছরূপের মামলা রজু করেছিল ইডি।
বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি মিলিন্দ যাদবের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছে, “আমি দৃষ্টান্তমূলক জরিমানা ধার্য করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে একটি কড়া বার্তা দেওয়া প্রয়োজন যে, আইনি পরিসরের মধ্যে থেকেই তাদের চলতে হবে। সাধারণ মানুষকে হয়রান করার জন্য তারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না”।
মুম্বাই ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার রাকেশ জৈনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলার তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। সম্পত্তি কেনা নিয়ে রাকেশের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ব্যবসায়ী জৈন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এমনকি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগও তোলেন তিনি।
তবে প্রথমে এফআইআর করতে রাজি না হলেও, পরে আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে এফআইআর করে পুলিশ। আদালত ভিলে পার্লের পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে এই মামলাটি ইডির কাছে পাঠায় পুলিশ। ইডি ব্যবসায়ি রাকেশ জৈনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
ইডির দায়ের করা মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ী জৈন। তাঁর দাবি, এটা আর্থিক তছরূপের মামলাই নয়। এটি একটি দেওয়ানি মামলা। ওই সম্পত্তিকে বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি শংসাপত্র দিতে দেরি হওয়ার কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ক্রেতা গুল আছড়া। ব্যবসায়ীর দাবি, ক্রেতা নিজেই ভবনের ভিতরে কিছু কাজ শুরু করেছিলেন, ফলে শংসাপত্র দিতে দেরি হচ্ছিল।
বিচারপতি মিলিন্দ যাদবের পর্যবেক্ষণ, এটি একটি দেওয়ানি মামলা। ইডি এই ভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। আইনের পরিসরের মধ্যে থেকে ইডিকে কাজ করতে হবে। অযৌক্তিক কারণে ব্যবসায়ীকে হেনস্থা করার জন্য ইডি ও ক্রেতা গুল আছড়াকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন