বছরে কোটি কোটি টাকা পাচ্ছে তিরুপতি মন্দির সংস্থা, কোথায় যাচ্ছে সেই টাকা? প্রশ্ন বিজেপির

People's Reporter: বার্ষিক বাজেটের ১ শতাংশ টাকা তিরুপতি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
বছরে কোটি কোটি টাকা পাচ্ছে তিরুপতি মন্দির সংস্থা, কোথায় যাচ্ছে সেই টাকা? প্রশ্ন বিজেপির

বার্ষিক মোট বাজেটের মাত্র ১ শতাংশ টাকা তিরুপতি মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম (TTD)। সোমবার বিবৃতি পেশ করে এমনটাই জানিয়েছে ওই সংস্থা। TTD-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে TTD সমস্ত হিন্দু ও ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। যে কোটি কোটি মানুষ তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ মন্দিরকে দান করেন, তাঁদেরও আঘাত করেছে TTD।

সোমবার একটি বিবৃতি পেশ করে TTD কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সংস্থার বার্ষিক বাজেটের ১ শতাংশ টাকা তিরুপতি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। TTD প্রধান ভুমনা করুনাকর রেড্ডি এবং কার্যনির্বাহী আধিকারিক এভি ধর্ম রেড্ডি পরবর্তীতে সংস্থার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “যেখানে যেখানে TTD দফতর, মন্দির, বহুতল, কলেজ, প্রতিষ্ঠান ও হোটেল রয়েছে, সেইসব জায়গায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। তিরুপতি পুরসভার ৩০ থেকে ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছে এই জায়গাগুলি।”

তবে TTD-র এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের তরফে দলের মুখপাত্র সাদিনেনি যামিনী শর্মা জানিয়েছেন, “তিরুমালা মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা ও মন্দিরকে একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে এটিকে একটি কোষাগারে পরিনত করছে TTD। ভক্ত ও হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত না করে ওদের একটি দিনও কাটে না।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “নিজস্ব কোষাগার থেকে কর্মচারীদের বেতনও দিচ্ছে TTD। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া ও তিরুপতি মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজের বিরুদ্ধে নয় বিজেপি। কিন্তু এই কাজের জন্য সংস্থা কেন নিজেদের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করছে? এর জন্য তো কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে, পাশাপাশি দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ট্যাক্স দিচ্ছেন। কোথায় যাচ্ছে সেই কোটি কোটি টাকা?” পাশাপাশি, মাত্র ১ শতাংশ টাকা মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য খরচ করার পর বাকি টাকা ‘কার পকেটে’ যাচ্ছে, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in