

ফেসবুক লাইভে এসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা। বিজেপির কিষাণ মোর্চা সংগঠনের নেতা তিনি। মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হলেও দলের কোনো নেতার কাছ থেকে সাহায্য পাননি বলে তাঁর অভিযোগ। দীর্ঘদিন অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
শনিবার রাতে ৭ মিনিটের ফেসবুক লাইভে এসে নিজের মানসিক অবস্থার কথা জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজনের সাথে তাঁর বচসা হয়েছিল। পরে তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মামলা দায়ের হয় থানায়। যা পুরোটাই দলের একাংশের চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন তিনি।
লাইভে তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না তিনি। এমনকি ১৫ বছরের মেয়ের সামনেও যেতে পারছেন না। তিনি ধার্মিক এবং শ্রাবণ মাসের জন্য উপবাসও করছেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হলেও কোনো শীর্ষ নেতার কাছ থেকে সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারপরেই তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিজেপির নেতার নাম বীর সিং। তিনি মোরাদাবাদের কাঁথ এলাকার বাসিন্দা। একটি কসমেস্টিকসের দোকান চালান তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, দলেরই একাংশের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
এই বীর সিং স্থানীয় এক মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। উভয় পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এফআইআরও দায়ের করে পুলিশ। বীরের বিরুদ্ধে মন্দির চত্বরেই এক মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
পুলিশ সুপার জানান, 'আমাদেরকে শনিবার খবর দিয়ে বলা হয় বীর সিং বিষ খেয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে দ্রুত যাই এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেই তাঁরা বয়ান রেকর্ড করা হবে। বীরের পরিবারকে আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছি।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন