Covid-19: টিকা নিলেও বাঁচেনি মেয়ে, বিল গেটসের কাছে ১০০০ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ বাবা

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কাছে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন মৃতার বাবা। উত্তর চেয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বিল গেটসের কাছে নোটিস পাঠাল বম্বে হাই কোর্ট।
বিল গেটসের কাছে ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি
বিল গেটসের কাছে ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিগ্রাফিক্স সুমিত্রা নন্দন
Published on

করোনা টিকা নেওয়ার পরেও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দিলীপ লনওয়াত নামের এক ব্যক্তি। তিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কাছে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। এর উত্তর চেয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বিল গেটসের কাছে নোটিস পাঠাল বম্বে হাই কোর্ট।

করোনা মহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচতে কমবেশি সকলেই টিকা নিয়েছেন। টিকা নিয়েছিলেন দিলীপ বাবুর মেয়ে স্নেহাল। কিন্তু বাঁচননি স্নেহাল। মেয়েকে হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাবা। তিনি বোম্বে হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা করেন।

ঔরঙ্গবাদের বাসিন্দা দিলীপ জানান, তাঁর মেয়ে পেশায় চিকিৎসক, ডেন্টাল কলেজের লেকচারারও ছিলেন। ভারত সরকার সামনের সারির যোদ্ধাদের প্রথমে টিকার ব্যবস্থা করে। সেই নিয়মানুযায়ী আমার মেয়েও ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি কোভিশিল্ড টিকা নেয়, যা প্রস্তুত করেছিল সিরাম ইনস্টিটিউট। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর নানা শারীরিক জটিলতার কারণে আমার মেয়ে প্রাণ হারায়।

১ মার্চ মৃত্যু হয় দীলিপবাবুর মেয়ের। বোম্বে হাইকোর্টে তাঁর দায়ের করা পিটিশনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ডিসিজিআই, ড. ভি জি সোমানি এবং এইমস ডিরেক্টরের নাম আছে। তিনি অভিযোগ করেন সিরাম ইনস্টিটিউটকে আর্থিক সাহায্য করেছিল বিল গেটসের সংস্থা। তাই তিনি বিল গেটসকে এই মামলার পক্ষ করেছেন।

দিলীপ বাবু আদালতে জানান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়। সিরাম ইনস্টিটিউটের আধিকারিকেরা বলেছিলেন, সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে তাদের। কিন্তু তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি। এই মৃত্যুর দায় কর্তৃপক্ষকে নিতেই হবে।

বিচারপতি সঞ্জয় ভি গঙ্গাপুরওয়ালা এবং বিচারপতি মাধব জে জমদার আগামী ১৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in