Bilkis Bano Case: 'আপনারা চাইছেন না মামলাটি এই বেঞ্চে শোনা হোক', আসামী পক্ষকে ধমক সুপ্রিম কোর্টের

পাল্টা হলফনামা দাখিল করার জন্য সময় চেয়ে মামলার শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী। যা শুনে তাঁদের ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি বি ভি নাগারত্নের বেঞ্চ।
বিলকিস বানো
বিলকিস বানো
Published on

সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল বিলকিস বানো (Bilkis Bano)-র ধর্ষকদের আগাম মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলার শুনানি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৯ মে।

আদালত সূত্রের খবর, এদিন আদালতে পাল্টা হলফনামা দাখিল করার জন্য সময় চেয়ে মামলার শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী। যা শুনে সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীদের ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি কে এম জোসেফ (Justice KM Joseph) ও বিচারপতি বি ভি নাগারত্নের (Justice BV Nagarathna) বেঞ্চ।

ইচ্ছে করেই এই বেঞ্চকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে তিরস্কার করেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। এক পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘কী চেষ্টা করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ১৬ জুন আমার অবসর এবং ১৯ মে আমার শেষ কর্মদিবস। এটা স্পষ্টত, বরং স্পষ্টর থেকে অনেক বেশি যে আপনারা চাইছেন না, এই বেঞ্চে মামলাটি শোনা হোক। আইনজীবীরা প্রাথমিকভাবে আদালতের আধিকারিক, সেটা ভুলে যাবেন না। আপনারা কোনও মামলা জিততে পারেন বা হারতেও পারেন, কিন্তু নিজেদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।’

বিচারপতি কে এম জোসেফ আরও বলেন, ‘আমার বোন (বিচারপতি নাগারথনা) একটি সম্মেলনে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। ২৫ মে পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তিনি। যদি আপনারা সবাই একমত হন, আমরা গ্রীষ্মের ছুটির সময় বসে মামলার শুনানি শেষ করতে পারি।’

আদালতের ধমকের পর, বিচারপতি জোসেফের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীদের একাংশ, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের ছুটিতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি করতে পারে বেঞ্চ।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ১১ জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এই ১১ আসামীকে গত বছরের ১৫ অগস্ট মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার।

গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো-সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ। সেই একগুচ্ছ আবেদনের ভিত্তিতে ২০২২-এর ২৫ অগস্ট গুজরাট সরকারের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। চলতি বছরের মার্চে সেই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতে সরকারকে নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালত।

এদিন আদালত জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৯ মে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in