বিলকিস বানো ধর্ষণকান্ডে এগারো জন ধর্ষকের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন জমা পড়লো সুপ্রিম কোর্টে। সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি সহ তিনজন এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই আবেদন শোনার বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। আবেদনকারীদের পক্ষে এই পিটিশন দাখিল করেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল, আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং আইনজীবী অপর্ণা ভাট। সুভাষিণী আলির পক্ষ থেকে সওয়াল করবেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল। মহুয়া মৈত্র-র পক্ষে সওয়াল করবেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
এই প্রসঙ্গে কপিল সিব্বাল জানান, আমরা শুধুমাত্র এই মুক্তির (Remission) বিষয়টিতে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আবেদন করছি না। আমরা শুধুমাত্র যে নীতির ভিত্তিতে (Principles of Remission was granted) মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেই নীতিকে চ্যালেঞ্জ করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকার ‘রেমিশন পলিসি’ অনুসারে বিলকিস বানো ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত এগারো জনকেই মুক্তি দেয়। যে ঘটনায় দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ধর্ষক এগারো জনের মুক্তির পর তাঁদের মালা দিয়ে সম্বর্ধনা জানানোর ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা।
২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বাইতে সিবিআই-এর স্পেশাল কোর্ট বিলকিস বানো ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত এগারো জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ঘটনার সময় বিলকিস বানো অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গুজরাটের দাহোদে ২০০২ সালের ৩ মার্চ বিলকিস বানো গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। যে সময় তাঁর তিন বছর বয়সী কন্যা সহ চোদ্দো জনকে হত্যা করা হয়।
গত ১৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে বিলকিস বানো জানান, "গত দু'দিন আগে অর্থাৎ ১৫ আগস্ট ২০২২, আমাকে আমার বিগত ২০ বছরের ভয়ঙ্কর অতীত পুনরায় মনে করিয়ে দিয়েছে। যখন থেকে আমি শুনেছি যে ওই ১১ জন আসামী ছাড়া পেয়েছে, তখন থেকেই আমি নির্বাক এবং অসাড় হয়ে পড়েছি। ওরা আমার পরিবার এবং আমার জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং আমার থেকে আমার তিন বছরের মেয়েকেও কেড়ে নিয়েছে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।