বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জিভ কেটে নিতে পারলে ১১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার। বিহারের এক বিজেপি নেতা এরকমই ঘোষণা করেছেন। ব্রাহ্মণদের প্রসঙ্গে হিন্দুস্থানী আওয়ামী মোর্চার প্রধান জিতন রাম মাঝির এক মন্তব্য ঘিরে বিজেপি নেতার এই মন্তব্য।
আন্তর্জাতিক হিন্দু মহাসভার সম্পাদক এবং বিহার বিজেপির কর্মসমিতির সদস্য গজেন্দ্র ঝা গতকাল জানিয়েছেন, যদি কোনো ব্রাহ্মণ সন্তান জিতন রাম মাঝির জিভ কেটে তাঁর সামনে নিয়ে আসতে পারলে তাঁকে তিনি ১১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেবেন। তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি এই কাজ করবেন তাঁর সারাজীবনের খরচ তিনি বহন করবেন।
বিজেপি নেতা গজেন্দ্র ঝা-র বক্তব্য অনুসারে, “আমরা আগে মনে করতাম জিতন রাম মাঝি মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি তাঁর জ্ঞানবুদ্ধি হারিয়েছেন। কিন্তু তিনি ক্রমাগত ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে অপমানজনক এবং অবমাননাকর মন্তব্য করে যাচ্ছেন। যা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। জিতন রাম মাঝির নিজের কোনো মর্যাদাবোধ নেই এবং হিন্দুত্বে বিশ্বাস করেন না। হিন্দু ধর্ম রক্ষার খাতিরে আমি মরে যেতেও রাজি।”
জিতন রাম মাঝির মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ বিবেক ঠাকুর বলেন, আমি বিহার সরকারের কাছে আবেদন করছি জিতন রাম মাঝিকে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত কোনো পাঠক্রমে ভর্তি করা হোক।
অন্যদিকে গজেন্দ্র ঝা-র মন্তব্যের পর হিন্দুস্থানী আওয়ামী মোর্চার জাতীয় মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান বলেন, কার এতবড় ক্ষমতা আছে যে মাঝিজীর জিভ কেটে নেবে? বিজেপি নেতৃত্বের উচিত নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করা। না হলে তাঁরা প্রতিরোধের মুখে পড়বেন। মাঝিজী ইতিমধ্যেই তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এই ইস্যুতে বিজেপি নেতারা কেন শোরগোল করছেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ব্রাহ্মণদের উদ্দেশ্য করে জিতন রাম মাঝি বলেন, ব্রাহ্মণরা ‘মহাদলিত’দের (মুসাহর) বাড়ি আসেন কিন্তু সেখানে কিছু খান না। বদলে তাঁরা সেখান থেকে টাকা দাবি করেন। তিনি আরও বলেছিলেন, হিন্দুত্ব সব থেকে খারাপ জিনিস। যে কারণে বি আর আম্বেদকরের মত মানুষও হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
