

বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় প্রাপ্য মজুরি দাবি করায় এক শ্রমিককে নির্মাণাধীন এক বাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠলো দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে একথা জানা গেছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়েছে।
সোমবার রাতে শ্রমিক অর্জুন ভুঁইয়াকে নির্মীয়মাণ বাড়ির মালিক শান্তু সিংয়ের কাছে তাঁর বকেয়া মজুরি দাবি করার পর এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে বকেয়া মজুরি চাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করে শান্তু সিং এবং তাঁর ছেলে রাকেশ সিং। এরপরেই অর্জুন ভুঁইয়াকে মারধোর করে নির্মীয়মাণ বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত ভুঁইয়াকে ঔরঙ্গাবাদে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ভুঁইয়া জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি মদনপুর বাজারে শান্তু সিংয়ের বাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
ঘটনায় আহত শ্রমিক ভুঁইয়া আরও বলেন, "যখনই আমি তার কাছ থেকে বকেয়া মজুরি দাবি করেছি, তখনই তিনি তা দিতে অস্বীকার করেছেন। সোমবার, আমার খুব টাকার দরকার ছিল এবং তাই আমি তার কাছে আমার বকেয়া মজুরি চেয়েছিলাম। এতে শান্তু সিং এবং তার ছেলে রাকেশ সিং আমাকে গালিগালাজ করে এবং একটি ঘরে আটকে রাখে। তারা আমাকে নির্দয়ভাবে মারধর করে এবং দ্বিতীয় তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।”
পলাতক দুজনের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মদনপুর থানার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন