Bihar: জিতন রাম মাঝির সঙ্গে আরজেডি নেতার সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

শুক্রবারই আচমকা এনডিএ শরিক হিন্দুস্থানী আওয়ামী মোর্চা প্রধান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির সঙ্গে দেখা করেন আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ সিং। এই ঘটনার পরেই বিহারে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক গুঞ্জন।
জিতন রাম মাঝি, নীতিশ কুমার ও লালুপ্রসাদ যাদব
জিতন রাম মাঝি, নীতিশ কুমার ও লালুপ্রসাদ যাদবফাইল ছবি সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শিবিরের ধাক্কা সামলানোর আগেই বিহারে এনডিএ-কে ঘিরে তৈরি হল নতুন রাজনৈতিক গুঞ্জন। শুক্রবারই আচমকা এনডিএ শরিক হিন্দুস্থানী আওয়ামী মোর্চা প্রধান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির সঙ্গে দেখা করেন আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ সিং। এই ঘটনার পরেই বিহারে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক গুঞ্জন।

আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব জামিনে ছাড়া পাবার পরেই বিহারে আরজেডি-র রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। এদিনের আরজেডি নেতার সঙ্গে জিতন রাম মাঝির সাক্ষাতে বিহারে এনডিএতে ভাঙনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ। জিতন রাম মাঝি শিবির বদল করলে বিহারে সংকটে পড়তে পারে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।

বেশ কিছুদিন ধরেই নীতিশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন জিতন রাম মাঝি। গত ২৩ মে এক ট্যুইট বার্তায় তিনি আক্রমণ হেনেছিলেন এনডিএ-র বিরুদ্ধে। যেখানে তিনি বলেছিলেন করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেটেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানো হোক। যদিও পরে তিনি এই ট্যুইট মুছে দেন। এদিনও এক ট্যুইট বার্তায় তাঁর আক্রমণের নিশানায় নীতিশ সরকার। এদিন তিনি লেখেন – “গরীব দলিত এগিয়ে গেলে সে নকশালী, গরীব মুসলমান মাদ্রাসায় পড়লে সে সন্ত্রাসবাদী, ভাইসাহেব এই ধরণের ভাবনা চিন্তা থেকে বেরোন। এই ভাবনা দেশের একতা এবং অখন্ডতার জন্য ঠিক নয়। আমি বাঁকা বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার উচ্চস্তরীয় তদন্ত দাবি করছি।”

এদিনের সাক্ষাতের পর আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ জানান – তিনি জিতন রাম মাঝিকে জানিয়েছেন যে যে কোনো সময় ইচ্ছে করলেই তিনি মহাজোটে ফিরতে পারেন। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি জানিয়েছেন এনডিএ-র মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। জিতন রাম মাঝি এনডিএ-র একজন বিশিষ্ট নেতা। তিনি যে কোনো রাজনৈতিক বৈঠক করতেই পারেন।

প্রসঙ্গত, জিতন রাম মাঝি বর্তমানে এনডিএ জোটে থাকলেও তাঁর সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠতা কারোরই অজানা নয়। জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাবার পর রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন লালুপ্রসাদ। সেক্ষেত্রে সুতোর ওপর ঝুলে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠতার এনডিএ সরকার আগামী দিনে জিতন রাম মাঝির দলকে নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৭ আসনে লড়াই করে হ্যাম জিতেছিলো ৪ আসনে।

বিহারের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩ আসনের মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছিলো ১২৫ আসন। যার মধ্যে বিজেপি ৭৪, জেডি(ইউ) ৪৩, হ্যাম এবং ভিআইপি ৪টি করে আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২২ আসন। সেখানে বিজেপি এবং জেডি(ইউ)-র আসন যোগ করলে দাঁড়ায় ১১৭। অর্থাৎ হ্যাম এবং ভিআইপি-র ৮ আসন সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in