বিহারে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের অবস্থা তথৈবচ। এই অবস্থায় জলবন্দি মানুষদের পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতেও ব্যর্থ সরকার। ২ দিন ধরে পূর্ব চম্পারণ জেলার গ্রামে আটকে পড়া মানুষদের কাছে কোনও ত্রাণ না পৌঁছনোয় শুক্রবার প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন জলবন্দীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক জলবন্দি মানুষ। এর ফলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।
স্থানীয় সাগৌলির বিডিও বিক্ষোভকারীদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে। চলতি বছরে এটিই প্রথম বন্যাকবলিতদের বিক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে। চিলঝাপটি গ্রামের বন্যাকবলিত মহেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, গ্রামের চারিদিকে বন্যার জল ছড়িয়ে পড়ায় সকলে কার্যত জলবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যার জলে স্থানীয় রাস্তা ভেসে গিয়েছে। কিন্তু প্রসাশনের তরফে মানুষের এই দুর্ভোগ দেখতে আসার সময় নেই। না পাওয়া গিয়েছে কোনও ত্রাণ, না উদ্ধারকাজ।
সরকার অবশ্য অনেক বড় বড় দাবি করছে বন্যাকবলিতদের সাহায্য করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নৌকো বা প্লাস্টিকের শিট দিয়ে সাহায্য করতে দেখা যায়নি। প্রতিবেশী নেপালে ক্রমাগত ৪ দিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিহারের গন্ধক, বুরি গন্ধক এবং অন্যান্য শাখানদীগুলোতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ এবং গোপালগঞ্জ জেলার তুলনামূলক নীচু গ্রামগুলো ভেসে গিয়েছে।বাগমতি, কোশি, কমলা বালান, ভূতাহি বালান এবং ঘাঘড়া নদীর জলস্তরও ছাপিয়ে গিয়েছে। গঙ্গার জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডব্লুউআরডি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশে সবথেকে বেশি বন্যাপ্রবণ এলাকা বিহার। মোট ৩৮টি জেলার মধ্যে ২৮টি জেলাই বন্যাপ্রবণ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।