

পাটনা হাইকোর্টে বিহারের নীতিশ কুমার সরকারকে তুলোধোনা করার পরেই মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরজেডি-র তেজস্বী যাদব। শুক্রবার সকালে হাইকোর্টের বয়ান উদ্ধৃত করে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তেজস্বী লেখেন – 'বিহার সরকার নির্বোধ – পাটনা হাইকোর্ট'।
এদিনের ট্যুইটে নীতিশ কুমারের নাম করে তেজস্বী বলেন – নীতিশজী হাঁফিয়ে গেছেন। হেরে গিয়েও ক্ষমতার লোভে অনৈতিকতার সমস্ত সিঁড়ি পার করে নিজের ইচ্ছেমত নিয়মকানুন ভাঙছেন। নীতিশ কুমার সরকারের সম্বন্ধে গত ৬ মাসে বিভিন্ন আদালতের মন্তব্য পড়ে দেখুন।
উল্লেখ্য, গতকালই সমস্তিপুর মহিলা কলেজ সংক্রান্ত এক মামলায় নীতিশ সরকারকে 'নির্বোধ' বলে মন্তব্য করে পাটনা হাইকোর্ট। মহিলা কলেজের সেকশন অফিসার রাম নবমী শর্মার করা আবেদনের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করে পাটনা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে – এই আদালত খেয়াল করে দেখেছে যে ভারতের সংবিধান অনুসারে স্থাপিত কোনো সংস্থা এইরকম মস্তিস্কহীন হয়ে কাজ করেনা, যেভাবে বিহার সরকার কাজ করে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে যে ধরণের অবহেলা বিহার সরকার করেছে তা কোনো সংস্থা করেনা।
নিজের পে স্কেল নিয়ে সরকারের শিক্ষা বিভাগের কাছে আবেদন করার পর সমস্তিপুর মহিলা কলেজের সেকশন অফিসার রাম নবমী শর্মার বেতন বাড়ার বদলে তা কমিয়ে দেয় সরকার। যে বেতন তাঁর সহায়কের বেতনের থেকেও কম। এরপরেই পাটনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাম নবমী শর্মা।
গতকাল পাটনা হাইকোর্টে বিচারপতি শরণ সিং-এর সিঙ্গল বেঞ্চ বিহার সরকারকে আগামী তিনমাসের মধ্যে রামনবমী শর্মার সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেবার নির্দেশ দিয়েছে এবং বিহার সরকারের শিক্ষা বিভাগকে এই ঘটনার জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন