"বেকারত্ব, দারিদ্রে বিহার এক নম্বরে কেন?" ডবল ইঞ্জিন সরকারকে নিশানা করে ১৫ প্রশ্ন তেজস্বী যাদবের

People's Reporter: সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সোমবার বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তেজস্বী যাদব
তেজস্বী যাদবফাইল ছবি
Published on

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সোমবার বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। লক্ষ্য নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর মন জয় করা। আর মোদীর এই বিহার সফরের আগে তাঁকে নিশানা করে কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।

বেকারত্ব, মাথাপিছু বিনিয়োগ, পরিকাঠামো, নিরক্ষরতা, শিল্পের অভাব সহ একাধিক বিষয় ছিল তেজস্বীর প্রশ্নের তালিকায়। এদিন আরজেডি নেতা দাবি করেন, “বিহারের জনগণ ডাবল ইঞ্জিন সরকার চালানোর সুযোগ দিয়েছে। মোদী ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী এবং নীতিশ কুমার রাজ্যে ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এখন জনগণ তাঁদের কাছে কিছু প্রশ্ন করতে চায়”।

তেজস্বীর অভিযোগ, “মাথাপিছু আয় এবং বিনিয়োগে বিহারের স্থান সর্বনিম্ন। কৃষকের আয়ের দিক থেকে বিহারের স্থান সর্বনিম্ন। বেকারত্ব, অভিবাসন এবং দারিদ্রে এক নম্বরে বিহার”।

এরপরেই চাকরী, শিল্প নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করে তেজস্বী বলেন, “শুধুমাত্র ভোটের আগেই রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আসলে স্লোগান দেওয়ার মাধ্যমে বিহারের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। রাজ্যজুড়ে চিনিকল এবং শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন”।

তেজস্বী বলেন, “২০১৭ সালে মতিহারে প্রধানমন্ত্রী চিনিকল চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রতিশ্রুতি কবে পূরণ হবে? কাটিহারে কবে পাটকল চালু হবে?” আরজেডি নেতার প্রশ্ন, “কেন প্রধানমন্ত্রী টেক্সটাইল পার্ক যোজনার আওতায় বিহারকে একটি টেক্সটাইল পার্ক দেওয়া হয়নি?"

তেজস্বীর প্রশ্ন, “বেকারদের রেলে এবং সেনাবাহিনীতে কবে চাকরী দেবেন? এতদিন কেন্দ্রে থেকে কেন বিহার এখনও দারিদ্র ও বেকারত্বে শীর্ষে? বিহারের জন্য কেন্দ্র কী সহায়তা (বিশেষ প্যাকেজ) দিয়েছে?”

প্রধানমন্ত্রীকে তেজস্বীর প্রশ্ন, “আপনি কি বোঝেন বিহারের কৃষকদের সমস্যা? তাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য কিছুই করা হয়নি। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেকথা ভুলে গিয়েছেন। কৃষকরা এখন মুদ্রাস্ফীতির দ্বারা পিষ্ট হচ্ছে”।

বিহারের কৃষকদের নিয়ে তেজস্বীর আরও প্রশ্ন, “বিহারের কৃষকরা অন্যান্য রাজ্যের থেকে বেশী সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিহারে অনেক বেশি কৃষি শ্রমিক এবং ভাগচাষী রয়েছে। 'ডাবল-ইঞ্জিন' সরকার তাদের জন্য কী করেছে? কেন বিহারের কৃষকদের আয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম?”

এদিন বর্ণ শুমারি নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তেজস্বী। তাঁর প্রশ্ন, “কেন বিজেপি সরকার রাজ্যের চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনগ্রসর শ্রেণী, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য পূর্ববর্তী রাজ্য সরকারের আদেশটি এখনও কার্যকর করেনি?”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে নীতিশ কুমার বিরোধী মহাজোটে থাকাকালীন এই বিল পাস হয়। যেখানে বলা হয় - রাজ্যের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিসি, ওবিসি, এসসি এবং এসটি সম্প্রদায় ভুক্ত।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in