Bihar: গয়ায় এক মহিলাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ, ১৪ অভিযুক্ত নিখোঁজ

গুরুতর আহত অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা বর্তমানে মগধ মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এখনও পর্যন্ত জবানবন্দী দেবার অবস্থায় নেই ওই মহিলা। সোমবার সন্ধ্যেয় ১৪ জন যুবক মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীকার্টুন - তৌসিফ হক

বিহারের গয়ায় ভয়াবহ গণধর্ষণের শিকার এক মহিলা। গুরুতর আহত অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা বর্তমানে মগধ মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এখনও পর্যন্ত জবানবন্দী দেবার অবস্থায় নেই ওই মহিলা। সোমবার সন্ধ্যেয় ১৪ জন যুবক মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। যে ঘটনায় আরও একবার নীতিশ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠলো।

পুলিশ সূত্র অনুসারে গতকাল সন্ধ্যেয় দুই বাইক আরোহী যুবক ওই মহিলাকে অপহরণ করে স্থানীয় ফল্গু নদীর চরে নিয়ে যায়। এরপরেই পাঁচ মোটরসাইকেলে চড়ে সেখানে জড়ো হয় আরও ১২ জন যুবক। এরপরেই গণধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে।

গয়া সদর থানার ডিএসপি ঘুরন মণ্ডল জানিয়েছেন, ওই মহিলার চিকিৎসা চলছে। তাঁর জ্ঞান ফিরলেই জবানবন্দী নেওয়া হবে। আমরা তাঁর বয়ান রেকর্ড করবো। তারপরেই আমরা অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবো।

পুলিশ অফিসার আরও জানিয়েছেন, অন্ধকার থাকার কারণে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের দেখতে পায়নি। যদিও তাঁরা ওই মহিলাকে বাইকের মাঝখানে বসিয়ে তুলে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন। তাঁদের ওইসময় সন্দেহ হলেও তাঁরা প্রাথমিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বা বাইক চালকদের বাধা দেননি। যদিও পরে আরও ১২ জন যুবককে পাঁচটি বাইকে করে নদীর চরের দিকে যেতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয় এবং তাঁরা স্থানীয় মুফাসিল পুলিশ থানায় ঘটনাটি জানান।

এরপরেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। নদীর ধারে বাইকগুলি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপরেই নদীর চরায় পৌঁছে যায় পুলিশ। পুলিশকে দেখেই অভিযুক্ত যুবকরা তাঁদের জামা কাপড় জুতো ফেলে পালিয়ে যায়। যদিও অন্ধকারের কারণে পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি বলে জানানো হয়েছে।

এরপরেই পুলিশ সংজ্ঞাহীন, বিবস্ত্র অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁকে মগধ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। পুলিশ সূত্র অনুসারে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় মনপুর সাব ডিভিশনের এক গ্রামে ওই মহিলার বাড়ি।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৬টি বাইক আটক করা হয়েছে। এইসব মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের ভিত্তিতে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে।

- with inputs from IANS

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in