Bihar: নজরে ২০২৪, জাতভিত্তিক জনগণনাকে কেন্দ্র করেই BJP-র সঙ্গে দূরত্ব, কাছাকাছি JD(U)-RJD

বিহারের রাজনীতিতে এই পালাবদল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, কোন পেক্ষাপটে আবার BJP-র সঙ্গ ছাড়তে হল নীতিশ কুমারকে? আর কোন সূত্রই বা ভুলিয়ে দিল RJD ও JD(U) মধ্যেকার তিক্ততা?
তেজস্বী যাদব, নীতিশ কুমার এবং তারকিশোর প্রসাদ
তেজস্বী যাদব, নীতিশ কুমার এবং তারকিশোর প্রসাদফাইল ছবি - গ্রাফিক্স সুমিত্রা নন্দন

২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রথম BJP-র সঙ্গ ত্যাগ করেন নীতিশ কুমার। তারপর কংগ্রেস, লালু প্রসাদের RJD ও নীতিশ কুমারের JD(U)-কে' নিয়ে গড়ে ওঠে মহাজোট সরকার। এসময় RJD-র আসন বেশি থাকলেও ‘পুরনো বন্ধু’ নীতিশকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দেন লালু প্রসাদ যাদব।

কিন্তু, আড়াই বছরের মাথায় ২০১৭-তে মহাজোট ছেড়ে আবার BJP-র সঙ্গ নেন নীতিশ কুমার। যোগ দেন NDA জোটে। ৮ আগস্ট ২০২২ নাগাদ তিনি NDA জোটেরই অংশীদার ছিলেন।

বিহারের রাজনীতিতে এই পালাবদল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, কোন পেক্ষাপটে আবার BJP-র সঙ্গ ছাড়তে হল নীতিশ কুমারকে? আর কোন সূত্রই বা ভুলিয়ে দিল RJD ও JD(U) মধ্যেকার তিক্ততা?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, BJP-র সঙ্গে নীতিশ কুমারের সম্পর্কে ফাটল ধরার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে, যেটি BJP-কে ধাক্কা দিয়েছে, তা হল বিরোধী শিবির থেকে নীতিশ কুমারের সমর্থন আদায় করে নেওয়া। তাও, আবার BJP-র একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে।

কী সেই সিদ্ধান্ত ? রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহার সরকারের 'জাত ভিত্তিক জনগণনা'-র সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রের তরফে অনুমোদন না দেওয়া।

এক সময় নীতিশ কুমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে বিহারে জাত ভিত্তিক জনগণনা হবে। এই দাবি শুধু নীতিশ কুমারের একার নয়, এই দাবি ছিল বিহারের বিরোধী দলগুলিরও। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, বিহার বিধানসভায় জাত ভিত্তিক জনগণনার দাবিতে প্রস্তাবও পাশ হয়।

এই প্রস্তাবে কেন্দ্রের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু, মোদী সরকার বিহারে জাত ভিত্তিক জনগণনার প্রস্তাবে সায় দেয়নি। এমনকি, ২০২১ সালে আগস্ট মাসে, দিল্লিতে এই ইস্যুতে দেখা করতে চাইলেও নীতিশ কুমারকে সময় দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে স্বাভাবিক ভাবে মোদীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন নীতিশ কুমার।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমার বারবার দেখা করতে চাইলেও মোদী সময় না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তেজস্বীও। তাঁর দাবি কেন্দ্রের এই আচরণ আদপে বিহারের জন্য বড় অসম্মানের সমান।

তার আগে বিহারে জাত ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন নীতিশ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। আর জাত ভিত্তিক জনগণনার ইস্যুতেই RJD-JD(U) দ্বৈরথের বরফ গলতে শুরু করে।

অভিযোগ ওঠে, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে, একদা নীতিশ কুমারের আস্থাভাজন আর সি পি সিং-কে দিয়ে JD(U)-র অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে তুলতে চেয়েছিল BJP। কিন্তু, শেষমেশ জোট ভাঙার পথ খুলে দিয়ে, সরকার থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করল BJP।

জানা যাচ্ছে, ২০২৪-এর নির্বাচনের আগেই NDA ছেড়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক বড় আঞ্চলিক শক্তি। ইতিমধ্যেই BJP-র হাত ছেড়েছে তেলুগু দেশম পার্টি, শিবসেনা, শিরোমণি আকালি দলের মতো বড় আঞ্চলিক দলগুলি।

অন্যদিকে, রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ান ও তাঁর কাকার মধ্যে তিক্ততার জেরে লোকজনশক্তি পার্টি এখন দ্বিধাবিভক্ত। যদিও চিরাগ যে আর BJP-র সঙ্গে নেই, সেই ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়ে রেখেছেন।

- with inputs from IANS

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in