Bihar: রাজ্যের ৫২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে - তেজস্বী যাদব

বিহারের ২০২২-২৩ বাজেটের আলোচনার সময় তেজস্বী জানান, রাজ্যের ২২টি জেলায় বসবাসকারী ৫২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে। তাছাড়া বাকি ১৮টি জেলায় ৬১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।
তেজস্বী যাদব
তেজস্বী যাদব ফাইল ছবি, ট্যুইটারের সৌজন্যে

বিহারের ৫২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। শুক্রবার বিহার বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদব এই দাবি করেছেন। তেজস্বী বলেন, রাজ্য সরকার প্রতি বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে অক্ষম।

বিহারের ২০২২-২৩ বাজেটের আলোচনার সময় তেজস্বী জানান, রাজ্যের ২২টি জেলায় বসবাসকারী ৫২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে। তাছাড়া বাকি ১৮টি জেলায় ৬১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁর ভাষণে বলেন, "২০২১-২২ সালে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদ ২.১৮ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন। অথচ সরকার ৩ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে৷ নীতীশ কুমার সরকার বরাদ্দকৃত তহবিলের মাত্র ৪৮ শতাংশ ব্যবহার করেছে৷ এখন, অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য আবার ২.৩৮ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন।"

তেজস্বী দাবি করেন, "আগের বাজেটে বরাদ্দকৃত পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা হলে, বেকারত্ব, কৃষক, সার, সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং মহিলা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পেনশনের সমস্যাগুলি সমাধান করা যেত।"

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের CAG রিপোর্ট অনুসারে, বিহার সরকার ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক বাজেটে বরাদ্দকৃত তহবিলের ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা তহবিলের ৪১ শতাংশ কৃষি খাতে, ৩১ শতাংশ স্বাস্থ্যে, ৫১ শতাংশ সংখ্যালঘুদের সামাজিক কল্যাণে ব্যয় করেনি। তেজস্বী যাদবের প্রশ্ন, যখন বাজেটে তহবিল বরাদ্দ করা হচ্ছে, তখন কেন সেই অর্থ উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হচ্ছে না?"

তেজস্বী এদিন জানতে চান, রাজ্যে ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের সময়, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বিহারে ১৯ লাখ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অর্থমন্ত্রী কেন তার বাজেটে চাকরি দেওয়ার কোনো রোডম্যাপ উল্লেখ করেননি?

তিনি বলেন, "বর্তমানে বিহারে প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে তিনজন বেকার। সরকার এই আর্থিক বছরে যে শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট, চিনিকল, আইটি পার্ক, এসইজেড তৈরি করতে চলেছে তার কোনো উল্লেখ কেন অর্থমন্ত্রী করেননি?"

তেজস্বীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সিনিয়র এনডিএ নেতা বিজেন্দ্র যাদব সভাকে জানান, সিএজি রিপোর্ট চূড়ান্ত বলে মনে করা হয় না। কারণ CAG রিপোর্ট তৈরির জন্য বিভাগের মাত্র ১০ শতাংশ গণনা করে দেখা হয়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in