বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি চত্বরে এক আইআইটি-র ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন যুবককে। এই তিনজনই সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। ঘটনাটি দু’মাস আগে ঘটলেও, পুলিশের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এই সমস্ত কিছু নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী। আর সেই বারাণসীতেই গত ২ নভেম্বর রাতে বিজেপির তিন আইটি সেলের সক্রিয় কর্মীর বিরুদ্ধে আইআইটি-বিএইচইউ-র এক ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে, ওই ছাত্রী এক বন্ধুর সঙ্গে হস্টেল থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখনই তাঁর পথ আটকায় একটি বাইকে থাকা তিন যুবক। অভিযুক্তরা জোর করে ক্যাম্পাসের অন্ধকারে কোণে নিয়ে যান তরুণীকে। এর পর তাঁকে নগ্ন করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আপত্তিকর মুহূর্তের ছবি ও তোলা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন কুণাল পাণ্ডে, অভিষেক চৌহান এবং সক্ষম প্যাটেল। এরা তিনজনই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এই ঘটনার পরের দিনই মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনের জন্য প্রচারে যায় অভিযুক্তরা বলে জানা গেছে। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি সহ একাধিক বিরোধী দল ওই তিন অভিযুক্তের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সরব হয়েছে।
একাধিক ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ডামাডোলও শুরু হয়েছে যোগীরাজ্যে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস। বিজেপিকে ‘বলাৎকারী জনতা পার্টি’ তকমা দিয়েছে বিরোধী দলটি। বিজেপির ‘বেটি বাঁচাও’ কে ‘বেটি রুলাও’ বলে আক্রমণ করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বারাণসীতে মোদীর অফিস ঘেরাও কর্মাসূচী করেছে কংগ্রেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন