Bengaluru: লকডাউনে বিপর্যস্ত - ইয়েদুরাপ্পা সরকারকে স্মারকলিপি পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়ন IMFK-এর

পরিযায়ী শ্রমিকদের সংগঠন ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ কর্ণাটক (IMFK) গড়ে উঠেছে গতবছরের গোড়ার দিকে। শ্রমিক সংগঠন সিটুর নেতৃত্বে এই সংগঠন পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নেমেছে।
ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ কর্ণাটকের স্মারকলিপি পেশ
ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ কর্ণাটকের স্মারকলিপি পেশছবি - ধীমান সাউ
Published on

কর্ণাটকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংগঠন ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ কর্ণাটক (IMFK) গড়ে উঠেছে গতবছরের গোড়ার দিকে। মূলত বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর (CITU) নেতৃত্বে এই সংগঠন ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নেমেছে। শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে এক পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে এক স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

এই বছর, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ তার বীভৎস রূপ ধারণ করায়, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতোন কর্ণাটক সরকারও চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে লকডাউন ঘোষণা করে। যা সম্প্রতি নির্দেশিকা অনুযায়ী জুন মাসের ১৫তারিখ অবধি বর্ধিত করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সবচাইতে বড় ভুক্তভোগীরা হলেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে রুটিরুজির টানে আসা কর্ণাটকের পরিযায়ী শ্রমিকরা; যাদের একটা বিরাট অংশই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গতবছরের লকডাউনের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই এই দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন কার্যতই তাদের দুর্দশার চরমে ঠেলে দিয়েছে। কারণ, ব্যাঙ্গালোরের অধিকাংশ প্রবাসী মধ্যবিত্তই ফিরে গেছেন নিজ নিজ রাজ্যে। ফলতঃ, এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। কাজেই, এই আর্থিক মন্দার বাজারে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ এক বড়োসড়ো প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি হয়েছে।

তবে ইতিমধ্যেই, গতবছরের গোড়ার দিকে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে একটি পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়ন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে- ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ কর্ণাটক (IMFK) - যা ভারতের প্রথম রেজিস্টার্ড পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়ন।

আজ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যা থেকে আগত এই পরিযায়ী শ্রমিকরা IMFK র অধীনে পাঁচদফা দাবী নিয়ে নিজ নিজ বসতি অঞ্চল থেকে লকডাউনের নিয়মবিধি মেনেই এক প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে এবং কর্ণাটকের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বি.এস. ইয়েদুরাপ্পা এবং মাননীয় শ্রমমন্ত্রী শ্রী অরবিল শিভারাম হেব্বারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়; যার মূল দাবীগুলো ছিল-

১) রেশন সামগ্রী ও জনতার রান্নাঘরের আয়োজন করা;

২) বিপিএলহীনদের জন্যে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার স্কীমের অধীনে ২০০০টাকার বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করা;

৩) আবেদনের সময়সীমা বর্ধিত করে ৩০শে জুলাই অবধি করা;

৪) পরিবার পিছু স্পেশাল প্যাকেজের সুবিধা ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বর্ধিত করা এবং

৫) মাথা পিছু ১০কেজির বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in