

ব্যাঙ্গালোরে পুলিশ ও বিজেপি সরকারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে পৌরসভায় চিঠি দিল বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্রমিকদের আন্দোলনে দেখা যায় সিটু, স্বরাজ ইন্ডিয়া সহ একাধিক বাম ও গণতান্ত্রিক সংগঠনকে।
বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যাঙ্গালোর মহাদেবপুরা বিবিএমপি অফিসের সামনে জড়ো হন। সেখানে যেতেই পৌরসভার গেট বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পৌরসভার গেটের সামনেই বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে গেটের সামনে আসতে বাধ্য করেন শ্রমজীবী মানুষরা।
শ্রমজীবী মানুষদের অভিযোগ, সোমবার বাঙালি আবর্জনা সংগ্রহকারী দলকে ভার্থুর ও মারাথাহাল্লি থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেইখানেই শুরু হয় হেনস্থা। বাঙালি আবর্জনা সংগ্রহকারী পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের জমির মালিককে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দূষণের কারণ দেখিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের পূর্ব ব্যাঙ্গালোরের থুবরাহাল্লি বসতি অঞ্চল ছাড়তে বাধ্য করে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু পুলিশের চাপের সামনেও তাঁরা পিছু হটেনি।
বৃহস্পতিবার, পৌরসভার আধিকারিকের কাছে তাঁরা নিজেদের বসতি অঞ্চলকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি স্মারকলিপি জমা দেন। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের আন্দোলনে পা মেলান বাম গণতান্ত্রিক সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দরা।
কর্ণাটকে শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বহুবার অত্যাচারিত হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন