

আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও ছন্দা কোছর (Chanda Kocher) ও তাঁর স্বামী দীপক কোছর (Dipak Kochar)-কে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার রাতে, ঋণ জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর কোছর দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১২ সালে ICICI ব্যাঙ্কের সিইও থাকাকালীন বেআইনিভাবে ভিডিওকন (Videocon Group) গ্রুপকে ৩,২৫০ কোটি টাকার ঋণের ছাড়পত্র দেন ছন্দা কোছর। আর, সেই ঋণ পাওয়ার পর (৬ মাসের মধ্যে) দীপক কোছরের কোম্পানি NuPower Renewables-এ ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ভিডিওকন গ্রুপ। এসময় ভিডিওকন গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন ভেনুগোপাল ধুত (Venugopal Dhoot)।
এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সেবিকে চিঠি লিখেন ভিডিওকন গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার অরবিন্দ গুপ্তা ও ICICI ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ছন্দা কোছর ও তাঁর স্বামী দীপক কোছরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) ও সিবিআই (CBI)। এরপর- ২০২০-র সেপ্টেম্বরে, দীপক কোছরকে গ্রেফতার করে ইডি।
জানা যাচ্ছে, ২০১২ সালে ভিডিওকন গ্রুপকে যে ঋণ দিয়েছিল ICICI ব্যাঙ্ক, পরবর্তীকালে তা এনপিএ (NPA) হয়ে যায়। পরে জানা যায়, এটি একটি 'ব্যাঙ্ক জালিয়াতি'। এই অভিযোগ ওঠার পরেই ২০১৮ সালে, আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাঙ্ক থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ছন্দা কোছর।
২০১৯ সালে বিচারপতি বি.এন. শ্রীকৃষ্ণ কমিটির রিপোর্ট এসেছে। যে তদন্তে কমিটি জানিয়েছে, ভিডিওকনকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন ছন্দা কোছর। এই ঋণের কিছু অংশ তাঁর স্বামী দীপকের মালিকানাধীন একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন