Bangalore: ৭ বছর ধরে তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ স্বঘোষিত ধর্মগুরুর, পলাতক অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী

সোমবার ব্যাঙ্গালুরুর থানায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বঘোষিত গুরু আনন্দ মূর্তি এবং তাঁর স্ত্রী লতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

ব্যাঙ্গালুরুতে এক স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, জীবনের যাবতীয় বাধা দূর করার 'অজুহাতে' ৭ বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন ওই গুরু। এই ঘটনায় পলাতক অভিযুক্ত এবং তাঁর স্ত্রী।

সোমবার ব্যাঙ্গালুরুর থানায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বঘোষিত গুরু আনন্দ মূর্তি এবং তাঁর স্ত্রী লতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।

নির্যাতিতা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন - গুরু বলেছিলেন, জীবনের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে গেলে তাঁকে বিশেষ কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে হবে। গুরুর কথায় একটি 'বিশেষ' পুজোয় অংশগ্রহণ করতে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সেইসময় অভিযুক্ত তাঁকে একটি বিশেষ পানীয় খেতে দেন। যা খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। সেই সুযোগে তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করেন ওই গুরু।

জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পান তরুণী। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় মূর্তি ও তাঁর স্ত্রী একই সঙ্গে ওই বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। শুধু তাই নয়, তারা দুজন একত্রে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালান এবং তাদের মোবাইলে পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেন।

এরপর, অশ্লীল ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ওই গুরু এবং তাঁর স্ত্রী তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, ওই তরুণীর বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে যাওয়ার পর এই ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন তাঁর মা।

নির্যাতিতার মা জানান, তাঁর মেয়ে বিয়ে করলে ওই ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। এমনকি, তরুণীর বাগদত্তার সাথে দেখা করে তাঁকেও ওই অশ্লীল ভিডিওটি দেখান গুরুজী। বলা হয়, বিয়ে করলে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। যার ফলে তাঁদের বিয়ে ভেঙে যায়।

প্রতীকী ছবি
Bilkis Bano Case: ১১ জন ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাট সরকারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in