
দলীয় মন্ত্রীদের ক্ষোভের মুখে পিছু হঠলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। দপ্তর পরিবর্তনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তা ফের পরিবর্তন করতে বাধ্য হলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর বৃহস্পতিবারই নতুন মন্ত্রীদের দপ্তর রদবদল করেছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রীরা। পুরনো দপ্তর ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তাঁরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মন্ত্রীদের পোর্টফোলিও পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা।
জে সি মধুস্বামীকে কন্নড় এবং সংস্কৃতি দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে ফের হজ ও ওয়াকফ বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া অরবিন্দ লিম্বাভালিকে কন্নড় ও সংস্কৃতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমটিবি নাগরাজকে আবগারি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। তাঁকে ফের পৌর প্রশাসন বিভাগ এবং আখ ও চিনি উন্নয়ন দপ্তরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কে গোপালাইয়াকে আবগারি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাঁকে এর আগে হর্টিকালচার দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
পৌর প্রশাসন বিভাগ থেকে সরিয়ে এনে আর শঙ্করকে হর্টিকালচার বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কে সি নারায়ণ গৌড়াকে প্ল্যানিং, প্রোগ্রাম মনিটরিং এবং স্ট্যাটিস্টিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাঁকে হজ ও ওয়াকফ দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
নতুন মন্ত্রক নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নাগরাজ, গোপালাইয়া, মধুস্বামী এবং নারায়ণ গৌড়া। মধুস্বামী ব্যতীত দপ্তর পরিবর্তন করা সমস্ত মন্ত্রীই ২০১৯ সালে বিরোধী দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং জেডিইউ-কংগ্রেস জোট সরকারের পতন ঘটিয়ে ইয়েদুরাপ্পার ক্ষমতায় ফিরতে সাহায্য করেছিলেন।
মন্ত্রিসভার সর্বশেষ রদবদলের পর কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, "প্রত্যেকেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের সাথে কথা বলেছেন। তাঁরা সকলেই এখন খুশি এবং সন্তুষ্ট। বিষয়টির সমাধান হয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন