
গোয়ার শিরগাঁও-এর লাইরাই দেবীর মন্দিরে পদপিষ্টের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। আহত অন্তত ৫০ জনেরও বেশি পুণ্যার্থী। শুক্রবার গভীর রাতে শিরগাঁওয়ের মন্দিরে বার্ষিক শোভাযাত্রা ‘শ্রী লাইরাই যাত্রা’য় অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সময় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আহতদের ইতিমধ্যেই গোয়া মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তর গোয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতিবছর ওই মন্দির চত্বরে ‘অগ্নিদিব্য’ নামে আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়। এটা এই মন্দিরের বহু প্রাচীন রীতি। প্রচলিত বিশ্বাস, এই আগুনের সামনে বসে কেউ যদি কোনও মানত করেন, তা হলে তার ইচ্ছে পূরণ হয়। এমনকি কেউ কেউ আবার আগুনের উপর দিয়ে হাঁটেন। সেই মতো শুক্রবারও ‘অগ্নিদিব্য’ –র আয়োজন করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রচুর মানুষের ভিড় হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাতের দিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শনিবার ভোর ৪টের সময় আচমকাই পুণ্যার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু করে দেন তাঁরা। মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বার হতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে কি কারণে এই ঘটনার সৃষ্টি হল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত উত্তর গোয়া জেলা হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ লাইরাই যাত্রার সময় পদপিষ্ট হওয়ার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। আমি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছি এবং তাঁদের সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। ব্যক্তিগত ভাবে পুরো পরিস্থিতি আমি পর্যবেক্ষণে রেখেছি যাতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি গোটা পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ জানতে চেয়েছে। সেই সঙ্গেই এই কঠিন সময়ে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন