সামনেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট, পেট্রোপণ্যের দাম কমবে কোন পথে? দিশেহারা কেন্দ্র

অর্থমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘তেলের দাম এখন ১০০ টাকার কোঠায়। ফলে কেন্দ্র যদি দু’পাঁচ টাকা কমায়, তাতে বিশেষ কোনও লাভ হবে না। কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে শুল্ক কমাতে হবে।
নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহ
নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহফাইল চিত্র

পেট্রোপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে অনেকদিনই। মূল্যহ্রাসের কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। কারণ পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্যান্য সামগ্রীর দাম ক্রমশ বেড়ে যাওয়া। বিরোধীরা সরব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকার মনে করছে, পেট্রোলের দাম অবশ্যই কমানো দরকার। কিন্তু কোন পথে দাম কমানো সম্ভব হবে সেই পথের দিশা দেখা যাচ্ছে না।

এবছর তুলনায় কেন্দ্রের রাজকোষের অবস্থা যথেষ্ট ভালো। আয়কর, কর্পোরেট থেকে আয় হয়েছে। জিএসটি বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু তার পরেও উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই করে পেট্রো-পণ্যের দাম কমাতে পারছে না কেন্দ্র। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়া, ভারত পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মালিকানা বেচে কত টাকা ঘরে আসবে, তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রক অনিশ্চিত।

এদিকে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের আসন্ন ভোটকেও হেলাফেলা করা যাচ্ছে না। সরকারের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। এপ্রিল মাসে তা ছিল ৪০ ডলারের ঘরে। অশোধিত তেলের দাম খুব শীঘ্রই কমার সম্ভাবনা নেই। শীতের মরশুমে সাধারণত জ্বালানির চাহিদা বাড়ে ইউরোপ-সহ উন্নত দুনিয়ায়।

রইলো একমাত্র উপায় উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই।’ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কথায়, এই অনিশ্চয়তা সামাল দিতে অন্যান্য জরুরি খাত থেকে কত টাকা কোথায় সরিয়ে আনতে হবে, সেই হিসাবই এখন প্রায় রোজ করতে হচ্ছে তাঁদের। শুল্ক কমানো নিয়ে তেলমন্ত্রক অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

অর্থমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘তেলের দাম এখন ১০০ টাকার কোঠায়। ফলে কেন্দ্র যদি দু’পাঁচ টাকা কমায়, তাতে বিশেষ কোনও লাভ হবে না। কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে শুল্ক কমাতে হবে। এবার রাজ্যগুলির কোষাগারের অবস্থা আরওই খারাপ। তাই রাজ্যগুলি রাজি হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু পেট্রলে ১০ টাকা বা ডিজেলে ১৩ টাকা শুল্ক কমিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।’ অর্থমন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা, পেট্রল পাম্পগুলো কার্যত সরকারের কর আদায় কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। তাই জ্বালানিতে শুল্ক কমালে সরকারের নিশ্চিত আয় ধাক্কা খাবে।

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার কটাক্ষ, ‘প্রতিশ্রুতি ছিল, হাওয়াই চটি পরা মানুষ বিমান সফর করবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকার মধ্যবিত্ত মানুষের রাস্তায় হাঁটাই কঠিন করে দিয়েছে।'

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in