

নির্বাচন কমিশন কোভিড -১৯ পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইতিমধ্যেই। আসন্ন পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি তাই ভার্চুয়াল সমাবেশ করছে। এই সমাবেশগুলিতে কত খরচ রাজনৈতিক দলগুলি, সেই বিষয়ে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন এই বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং এর পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। সূত্রের খবর, কমিশনের পর্যবেক্ষকরা রাজনৈতিক দলগুলির ভার্চুয়াল প্রচারের বিষয়বস্তুর ওপর নজর রাখছেন। নির্বাচন কমিশন গত ১৪ জানুয়ারী ব্যয় পর্যবেক্ষক, পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘ বৈঠক করে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলির ভার্চুয়াল সমাবেশে ব্যয়ের উপর আরও নিবিড় নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলির ভার্চুয়াল প্রচারে ব্যয় করা অর্থ লিপিবদ্ধ করার জন্য ইতিমধ্যেই নতুন কলাম যুক্ত করা হয়েছে। ভোট প্রচারের নতুন নির্দেশিকাতেও ‘ভার্চুয়াল প্রচার’-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রার্থীদের ভার্চুয়াল সমাবেশের সংখ্যা, খরচের পরিমাণ এবং এই সমাবেশের সময়, প্রচারের বিষয়বস্তু সহ বিশদ বিবরণ ফাইল করতে হবে। কমিশন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সংস্থাগুলিকেও ‘ভোট প্রচারের বিজ্ঞপ্তি’ অনুসারে অনলাইন প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন আসন্ন পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের ব্যয়ের সীমা বাড়িয়েছে। ৬ জানুয়ারী, ২০২২-এ জারি করা নতুন নির্দেশিকায় মণিপুর এবং গোয়াতে একজন প্রার্থীর ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২৮ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি তিনটি রাজ্য পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের জন্য একজন প্রার্থীর ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন