
আসামের বিজেপি নেতা তথা বিদায়ী মন্ত্রী হিমন্ত শর্মার উপর ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। এই ৪৮ ঘন্টা উনি কোনোরকম নির্বাচনী প্রচারমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন না। কোনো সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন না। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনোরকম প্রচার করতে পারবেন না।
NIA কে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের নেতাকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দিয়েছিলেন অসম বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার হিমন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানায় কংগ্রেস। সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শো-কজের নোটিশ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু হিমন্তের জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি নির্বাচন কমিশন। ৪৮ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয় হিমন্তের উপর।
প্রসঙ্গত, “বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট” এর কর্ধাণর হাংগ্রামা মহিলারিকে NIA এর মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকি দেন হিমন্ত। তিনি বলেন- “হাংগ্রামা যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তাঁকে জেলে যেতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে - সেগুলো NIA (National Investigation Agency) এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোকরাঝারে যে গাড়ি ভর্তি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেই ঘটনার তদন্তের ভারও NIA কে দেওয়া হয়েছে। বোড়োল্যান্ডে অশান্তি করলে কাউকে ছাড়া হবে না”। এই মন্তব্যের পরেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে কমিশনে অভিযোগ করে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট একসময় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক ছিল। সম্প্রতি এই এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসে বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট। তারা যোগ দেয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটে। জোট ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট ও বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন