
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার খবর দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করলেন আসামের বিদায়ী মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। আজ সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যমে প্রচার হচ্ছিল নির্বাচনী প্রচারের ওপর ৪৮ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞা জারির কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এমনকি তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছিল, আজই যেকোনো সময় এই মামলার শুনানি হবে। কিন্তু সেই দাবি নিজেই অস্বীকার করলেন আসাম বিজেপির তারকা প্রচারক।
আজ কিছুক্ষণ আগে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে হিমন্ত শর্মা জানিয়েছেন, "নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সব সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। মিডিয়া এখন যে রিপোর্ট করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গুয়াহাটি হাইকোর্ট বা অন্য কোনো আদালতে মামলা দায়ের করিনি। আমি আমার সমস্ত প্রচারের সময়সূচি বাতিল করে দিয়েছি।"
NIA-কে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতাকে জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ায় তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। এনডিএ ছেড়ে সদ্য বেরিয়ে কংগ্রেসের সাথে হাত মেলানো বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট-এর প্রধান হাংগ্রামা মহিলারিকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, "হাংগ্রামা যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তাঁকে জেলে যেতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে - সেগুলো NIA (National Investigation Agency) এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোকরাঝারে যে গাড়ি ভর্তি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেই ঘটনার তদন্তের ভারও NIA কে দেওয়া হয়েছে। বোড়োল্যান্ডে অশান্তি করলে কাউকে ছাড়া হবে না।"
এই মন্তব্যের পরেই হেমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সো-কজ নোটিশ পাঠানো হয় শর্মাকে, শুক্রবার যার নোটিশ দেন তিনি। কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি নির্বাচন কমিশন। এরপরই ৪৮ ঘন্টার জন্য তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা করে কমিশন। এই ৪৮ ঘন্টা কোনোরকম নির্বাচনী প্রচারমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। কোনো সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন না। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনোরকম প্রচার করতে পারবেন না তিনি।
হিমন্ত শর্মার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূরযওয়ালা। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বিরুদ্ধেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন