Assam: গুলিবিদ্ধ বিক্ষোভকারীকে লাথি, গ্রেপ্তার আসামের চিত্রগ্রাহক

মাটিতে পড়ে থাকা বিক্ষোভকারীর দেহের উপর লাফাতে দেখা যায় এক চিত্রগ্রাহককে। আসাম পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই ব্যক্তি বিজয় শঙ্কর বানিয়াকে। সূত্র অনুসারে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিলো।
গতকাল আসাম
গতকাল আসামছবি ঘটনার ভিডিও থেকে স্ক্রীনশট
Published on

বৃহস্পতিবার আসামের ঢোলপুর গোরুখুটি অঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক বিক্ষোভকারী। ওই ঘটনার ভিডিওতে মাটিতে পড়ে থাকা বিক্ষোভকারীর দেহের উপর লাফাতে দেখা যায় এক চিত্রগ্রাহককে। যে নৃশংসতা স্তম্ভিত করে নেটিজেনদের। চিত্রগ্রাহককে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অবশেষে আসাম পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই চিত্রগ্রাহক বিজয় শঙ্কর বানিয়াকে। সূত্র অনুসারে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তাঁকে ছবি তোলার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিলো।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামের দরং জেলায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন তিন জন নিহত হন এবং ৯ পুলিশকর্মী সহ বহু মানুষ আহত হন। পুলিশের দাবি, উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন প্রায় দু’হাজার মানুষ তাঁদের আক্রমণ করে। এরপরেই পুলিশ গুলি চালায় এবং লাঠি চার্জ করে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ঘটনার একাধিক ভিডিওতে পুলিশকে সাধারণ মানুষ এবং বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করতে দেখা গেছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)।

গতকালের উচ্ছেদ অভিযানের পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের একাধিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে লাঠি নিয়ে ধেয়ে আসছে। পুলিশের কাছাকাছি আসতেই প্রচুর পুলিশ তাঁকে ঘিরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা শুরু করেন। মাটিতে পড়ে নিঃস্তব্ধ হয়ে‌ গেলেও পুলিশের লাঠি থামছে না।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি বিশাল মাঠের মধ্যে পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে, একটু দূরে ধোঁয়া উড়ছে। অন‍্য একটি ভিডিওতে আবার এক ফটোগ্রাফারকে এক বিক্ষোভকারীকে নৃশংসভাবে মারতে দেখা গেছে। বিক্ষোভকারী মাটিতে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফটোগ্রাফার বারবার দৌড়ে এসে তাঁর বুকের ওপর পা তুলে লাফাচ্ছেন (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)।

গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে আসাম কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন কুমার বোরা জানান, অতিমারির সময় উচ্ছেদ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও আসাম সরকার সেই নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। ঢোলপুরের এই বাসিন্দারা এখানে ১৯৭০ সাল থেকে আছেন। উচ্ছেদের আগে সরকারের উচিত ছিলো এঁদের বিকল্প বাসস্থান এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। গতকালের ঘটনাকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং শীর্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য বলেও দাবি করেছে কংগ্রেস।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in