

“নীরবতা কোনও উত্তর হতে পারে না।” বিজেপি শাসিত আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে বুধবার একথা জানিয়েছেন রাজ্যসভা সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বাল। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে সিব্বল বলেন, ‘পুরোপুরি সাম্প্রদায়িক বিষ’।
নগাঁওতে এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিধানসভায় বিরোধীদের আনা প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আমি কখনোই ‘মিয়া মুসলিমদের’ আসামের দখল নিতে দেব না।
বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মার এই মন্তব্যের উত্তরে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বাল নিজের এক্স (পূর্বতন ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, হিমন্ত (আসামের মুখ্যমন্ত্রী) “পক্ষ নেবে... মিয়া মুসলমানদের পুরো আসামের দখল নিতে দেবে না” আমার বক্তব্য: খাঁটি সাম্প্রদায়িক বিষ। করণীয় - নীরবতা উত্তর হতে পারে না।”
সাধারণভাবে বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘মিয়া’ বলে সম্বোধন করা হয় এবং অ-বাংলাভাষী মানুষেরা মনে করেন তাঁরা বাংলাদেশি অভিবাসী। সাম্প্রতিক সময়ে অসম্মানজনক শব্দ হিসেবে ‘মিয়া’ শব্দের ব্যবহার করা হয়।
দিন কয়েক আগেই এক নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। গুয়াহাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে যে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
গত ২১ আগস্ট গুয়াহাটিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানে স্থানীয় এক নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক শাহ আলম মুখ্যমন্ত্রীকে মান্দাকাটায় অবৈধ পাহাড় কাটা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এরপরেই সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে মন্তব্য করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় গুয়াহাটি প্রেস ক্লাব এবং প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর গুয়াহাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুস্মিতা গোস্বামী এবং সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় রায় এক বিবৃতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ২১ আগস্ট এক সাংবাদিক সম্মেলনে কোনও কারণ ছাড়াই একজন সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় টেনে কথা বলেছেন। গুয়াহাটি প্রেস ক্লাব এই ধরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে এটাই দাবি করছি যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রতি সম্মান প্রদান করার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন