CAA নিয়ে এবার নতুন নির্দেশ দিল আসামের গুয়াহাটি হাইকোর্টের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল বেঞ্চ। তারা জানায়, ট্রাইবুনাল যদি একবার কোনো ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করে তাহলে পুনরায় আর সেই ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে কোনওরকম প্রশ্ন বা শুনানি করা যাবে না।
এদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম নাগরিকত্ব আইন চালু হয় আসামে। দেখা গেছে, আসামের অনেক ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করার পরেও পুনরায় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। আদালতের বক্তব্য, ‘‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল শুধু একটি মতামত দিতে পারে। তাই এটা বলা ভুল হবে যে, কেন্দ্রীয় সরকার বা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ট্রাইব্যুনালের মতামত মানতে বাধ্য হবে।’’
বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংহের ডিভিশন বেঞ্চের অধীনে ২০০৮ সালে আমিনা খাতুন মামলার শুনানি হয়েছিল। ১৯৪৬-এর বিদেশি আইন (তৃতীয় অনুচ্ছেদ)-এ বলা হয়, কাউকে বিদেশি হিসাবে শনাক্ত করা এবং তাঁকে নির্বাসিত করার ভার কেন্দ্রের উপর আরোপ করা হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার পুরো বিষয়টি পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টকে দায়িত্ব দেবে। আইনত, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের থেকে মতামত নিতে পারবেন ওই পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সারা দেশ। ২০১৯ সালের শেষ ও ২০২০ সালের শুরুর দিকে সিএএ-র বিরোধিতায় সরব হন বহু মানুষ।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন বাংলায় সিএএ (CAA) লাগু হবেই। জনসভা থেকে তিনি বলেন - "তৃণমূল কংগ্রেস CAA’র ব্যাপারে গুজব রটাচ্ছে। বলা হচ্ছে, সিএএ লাগু হবে না। আমি বলে যাচ্ছি, করোনার ঢেউ থামলেই, CAA কার্যকর হবে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।