আসামে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকারী বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পানীয় জলের চূড়ান্ত সমস্যা দেখা গিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে।
অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি শিলচর শহরে। আসামের এই শহরে জলবন্দি হয়ে আছেন বহু মানুষ। বিগত কয়েকদিন ধরে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, শিলচরে আকাশপথে জলের বোতল সরবরাহ করবে ভারতীয় বায়ু সেনা। আকাশপথে রোজ একলক্ষ জলের বোতল সরবরাহ করা হবে।
NDRF, SDRF, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থা আসামের বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। বন্যাক্রান্তদের উদ্ধার করতে আগামীকাল আরও সৈন্য আসবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আসামের ব্রহ্মপুত্র ও বারাক নদী ও অন্যান্য উপনদীগুলির কূল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বারাক নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলির (কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি) অবস্থা ভয়াবহ। বরাক ও কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের প্রায় ৬লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসামের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে ৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যা প্রকোপে পড়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
আসামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বারপেটা জেলায় পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। সেখানে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কামরূপ, নগাঁওতে ও ধুবড়ি জেলাগুলিতেও একই অবস্থা। সেখানেও প্রায় ৪ লক্ষাধিক করে মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল - ১ জুন থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত। বন্যার কারণে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।