

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার পঞ্চমবারের জন্য তলব করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কিন্তু এদিনও ইডি তলব এড়ালেন আপ সুপ্রিমো। আপ সূত্রে খবর, শুক্রবার চণ্ডীগড় পুরনিগমের মেয়র নির্বাচনে ‘কারচুপি’র অভিযোগ তুলে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচী রয়েছে তাদের। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেজরীওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান। সেকারণেই আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
আপের তরফ থেকে কেজরিওয়ালের তলব নিয়ে বারবারই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে আপ-কে চাপে ফেলতে চায় বিজেপি। সেকারণেই বারবার এই তলব।
এদিন আপ-এর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, “মোদী চান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে দিল্লির সরকারকে ফেলে দিতে। আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না।”
এর আগে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর কেজরিওয়ালকে প্রথম তলব করেছিল ইডি। তারপর ডিসেম্বরের ২১, জানুয়ারীর ৩ ও ১৩ তারিখ তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেই চারবার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি তিনি। প্রথম তলব এড়িয়ে যান মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারের জন্য। দ্বিতীয়টি, ১০ দিনের জন্য তিনি 'বিপাসনা' কোর্স করার জন্য দিল্লির বাইরে যান। পরবর্তী তলবগুলো অবৈধ বলে এড়িয়ে যান তিনি।
চলতি মাসে চতুর্থবারের তলব পেয়ে কেজরিওয়াল এবং তাঁর দলের তরফ থেকে ইডির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করা হচ্ছে। তিনি এই মামলায় অভিযুক্ত নন। আপের তরফে বলা হয়েছিল, "লোকসভা নির্বাচনের প্রচার থেকে তাঁকে আটকাতে এটি করা হচ্ছে। ইডি বলেছে কেজরিওয়াল অভিযুক্ত নন, তাহলে কেন তাঁকে তলব করা হচ্ছে।“
উল্লেখ্য, এই মামলায় এর আগে ২০২৩ সালে এপ্রিলে কেজরিওয়ালকে টানা ন’ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সেই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, "সিবিআই আমাকে মোট ৫৬ টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে। সবকিছুই জাল। কেস জাল। আমি নিশ্চিত যে তাদের কাছে আমার বিরুদ্ধে কিছু নেই, এক টুকরো প্রমাণও নেই।"
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির তৎকালীন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুজনই বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন