
২০০১ সালে দিল্লির ওখলা শিল্প তালুকে (Okhla Industrial Area) নৃশংস ভাবে খুন হন CITU ইউনিয়নের সভাপতি রাজেন্দ্র সিং (Rajender Singh)। সেই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২১ বছর পর, বুধবার মূল অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমার সিং (Anjani Kumar Singh)-কে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
সূত্রের খবর, আদালতে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমার সিং।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ (Priyanka Kashyap) জানান, 'হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের উপর নজরদারি চালাতে পুলিশের 'একটি বিশেষ' টিম গড়া হয়েছিল। তাঁরাই অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমারকে খুঁজে বের করেছে। সুত্র মারফত তাঁরা জানতে পারেন, দিল্লির হরি নগর জৈতপুরে গা ঢাকা দিয়ে আছেন অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমার। ১৯ জুন সেখানেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
খুনের বিবরণ দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ বলেন, 'অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমার সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে 'গ্রুপ ৪ সিকিউরিটি টাস্ক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডে' কাজ করতেন এবং ২০০১ সালে তিনি একটি ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।'
তিনি বলেন, '২০০১ সালের মার্চ মাসে, গ্রুপ ৪ সিকিউরিটি টাস্কের ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে 'পারিশ্রমিক' সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়। এসময় অভিযুক্ত অঞ্জনি এবং তার ইউনিয়নের সভাপতি এম. কে. সিং (M. K. Singh)-সহ একদল মানুষ CITU ইউনিয়নের সভাপতি রাজেন্দ্র সিং এবং গার্ড অনিলের উপর আক্রমণ চালায়। এতে নয়াদিল্লির ঊষা হাউসে প্রান হারান রাজেন্দ্র সিং।'
তিনি বলেন, 'ঘটনার পরই অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে, এই হত্যাকাণ্ডের পর ২০০১ সালে ভগবান ঠাকুর, অবধেশ এবং মহম্মদ সেলিম নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।'
ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) আরও বলেন, 'অভিযুক্ত অঞ্জনি কুমার বিহারের অসমস্তিপুরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিয়মিত তার ঠিকানা পরিবর্তন করতেন, এবং গ্রেফতারি এড়াতে কখনই তিনি নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করেননি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন