অমিত শাহের বাড়ি দলিতবিরোধী রাজনীতির ঘাঁটি হয়ে উঠেছে - কংগ্রেস

সুরযেওয়ালা বলেন, ক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের একগুঁয়েমি আঘাত পেয়েছে। দলিত মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে তাঁরা প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেসে কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজন দলিতকে সর্বোচ্চ পদ দেওয়াটা তাঁদের পছন্দ হয়নি।
রণদীপ সুরযেওয়ালা
রণদীপ সুরযেওয়ালাফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে অমিত শাহকে কটাক্ষ করলো কংগ্রেস। বিজেপির বরিষ্ঠ নেতার বাড়িটি দলিতবিরোধী রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে‌ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূরযওয়ালা।

ক‍্যাপ্টেন ও শাহের বৈঠকের পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা টুইট করে বলেন, ক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের একগুঁয়েমি আঘাত পেয়েছে। দলিত মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে তাঁরা প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেসে কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজন দলিতকে সর্বোচ্চ পদ দেওয়াটা তাঁদের পছন্দ হয়নি।

সুর‍যেওয়ালার অভিযোগ, দলিতবিরোধী রাজনীতির কেন্দ্রটি আর কোথাও নয়, এটা অমিত শাহের বাড়িই। তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জ্বলছেন প্রতিহিংসার আগুনে।তাঁরা পঞ্জাবের ওপর বদলা নিতে চান। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁরা কৃষকবিরোধী কালা কানুন লাগু করে ক্যাপিটালিস্ট বন্ধুদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি। বিজেপির কৃষক বিরোধী চক্রান্ত সফল হবে না বলে তিনি জানিয়ে দেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং অমিত শাহের বাসভবনে যান। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০মিনিট কথা হয়।

বৈঠকে অমরিন্দর সিং বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি বিল বাতিল করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কথা হোক। সেই সঙ্গে গত ১০ মাস ধরে চলা কৃষকবিক্ষোভের দ্রুত সমাধান করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।

উল্লেখ্য গত দুদিন ধরে দিল্লিতে রয়েছেন ক‍্যাপ্টেন। মঙ্গলবার তিনি দিল্লী পৌঁছনোর পরেই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

পরে অবশ্য এক বিবৃতিতে জানানো হয় তিনি ব্যক্তিগত কাজে দিল্লী এসেছেন।

মঙ্গলবার দিল্লী পৌঁছনোর ঠিক আগে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন নভজোত সিং সিধু। তাই এই পরিস্থিতিতে ওই বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

-With IANS Inputs

রণদীপ সুরযেওয়ালা
Captain Amarinder Singh: অবশ্যই কংগ্রেস ছাড়ছি - সংবাদমাধ্যমে জানালেন ক্যাপ্টেন

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in