অমিত শাহ আসছেন। তাই দরজা জানলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমেদাবাদে পুলিশের পক্ষ থেকে। এই নির্দেশ ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তিনদিনের সফরে গতকাল আমেদাবাদে গেছেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমেদাবাদ পুলিশ এই ধরণের নির্দেশ দিয়েছে। আমেদাবাদের ভেজালপুর এলাকায় রবিবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয় কমিউনিটি হলের দিকে মুখ করে থাকা সমস্ত জানালা বন্ধ রাখার এই পুলিশি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে।
ভেজালপুর পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর এল ডি ওডেড্রা স্থানীয় স্বামীনারায়ণ সোসাইটি এবং অন্যান্য সোসাইটিকে জানিয়েছিলেন ভেজালপুরা কমিউনিটি হলের সংলগ্ন অঞ্চলের সব বাড়ি এবং আবাসনের জানলা রবিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। গতকালই তিনদিনের গুজরাট সফরে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা ছিলো। সেই অনুষ্ঠানে তাঁর ভেজালপুর যাওয়ার কথা। তাই অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশের এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের এই নির্দেশ দেয় পুলিশ। রবিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অমিত শাহ জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। থাকেন ৩৬ জন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান। এনএসজি-এসপিজি কমান্ডোরাও থাকেন। দুই বাহিনীর জওয়ানদের দ্বিস্তরীয় বলয় থাকে নিরাপত্তায়। এছাড়া আইটিবিপি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের নিরাপত্তা থাকে।
ভেজালপুরের এক বাসিন্দার কথায়, 'অমিত শাহর নিরাপত্তার নামে জনগণের বিপুল অর্থ খরচ করা হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তার পরিবর্তে আমাদের ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে!' পুলিশের এই নির্দেশ অমান্য করলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর এল ডি ওডেড্রা জানিয়েছেন, আমরা 'বিনম্র অনুরোধ' করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। তাই তার সুরক্ষার জন্য আমরা এরকম একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, আশপাশের বড় আবাসনগুলিতে নজর রাখা মুশকিল। তাই এমন অনুরোধ করা হয়।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের কাছে কোন বিপদের সতর্কতা ছিল। যদিও পুলিশের দাবি, এটা খুবই সাধারণ বিষয়। যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যান, সেখানেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, অনুরোধ নয়। রীতিমতো ধমক দিয়ে তাঁদের তিন ঘণ্টা দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা পুলিশের কাছে লিখিত নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তা দিতে অস্বীকার করে। পরে আবাসনের চেয়ারম্যানের কাছে এই নির্দেশ আসে। এর আগে এমনটা ঘটেনি। ভিভিআইপির নিরাপত্তার নামে তাঁদের হেনস্থা বেশি হচ্ছে বলে আমেদাবাদের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।