ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। সম্প্রতি ক্ষোভ দেখিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন টিএস দেও। এরই মাঝে শনিবার রাতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। অন্যপথে দিল্লি গিয়েছেন বিক্ষুব্ধ টিএস দেও, যার সঙ্গে বাঘেলের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক।
হিমাচল প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক হিসাবে ভূপেশ বাঘেলকে দায়িত্ব দিয়েছে দল। সেই দায়িত্ব সামালানোর আগেই অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন বাঘেল।
শনিবার, দিল্লি রওনা দেবার আগে স্বামী বিবেকানন্দ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঘেল জানান, 'দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছি। একইসঙ্গে আমি হিমাচল প্রদেশের নেতাদের সাথেও দেখা করব।'
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি রওনা দেওয়ার পরই দলীয় সূত্রে খবর পাওয়া যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস দেও-ও দিল্লি যাচ্ছেন। তিনিও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেই দেখা করবেন বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে লড়াইয়ের কারণেই গত ১৬ জুলাই, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন দেও। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলকে দেওয়া লেখা চার পাতার ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে, নির্বাচনের সময় জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে তিনি পারছেন না।
২০২৩ সালে ছত্তিসগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দুই মন্ত্রীর বিরোধ চরমে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করে যাচ্ছেন টিএস দেও। তাঁর বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই স্থির হয়েছিল যে তিনি ও ভূপেশ বাঘেল অর্ধেক মেয়াদ অবধি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। বাঘেলের আড়াই বছর পূর্ণ হলেও, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন না।
জানা যাচ্ছে, ক্ষমতায় আসার পর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দুই মন্ত্রীর যে চুক্তি হয়েছিল, ২০২১ সালে তা পূরণ না হওয়ায় টিএস দেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন। তবে সেই সময় দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করার পর সেই বিদ্রোহের আগুন নিভে যায়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের হাসদেও আরন্দ জঙ্গলে কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন নিয়ে তিনি ফের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। এবার সেই বিক্ষোভের আঁচে জল ঢালতেই দুই নেতাকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে, এ দিন দিল্লি যাওয়ার আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ আনেন টিএস দেও। তিনি বলেন, 'ইডি কেবল অ-বিজেপি রাজ্যে অভিযান চালায়। তারা ছত্তিশগড়েও আসে। ন্যাশনাল হেরাল্ডে (সংবাদপত্র) কোনও আর্থিক লেনদেন না থাকা সত্বেও তদন্ত করছে।'
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'ছত্তিশগড়ে বিজেপির শাসনকালে চিট ফান্ড কোম্পানিগুলি গরিব মানুষের কাছ থেকে ৬,৫০০ কোটি টাকা লুট করে পালিয়ে গেছে। কেন? এজেন্সি কি এটি তদন্ত করে না?'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।