অভিযোগগুলি অত্যন্ত গুরুতর, পেগাসাস কাণ্ডের সত্য সামনে আসা দরকার - মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে সরাসরি নোটিশ না পাঠালেও মোদি সরকারের কী বক্তব্য, তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টফাইল ছবি

পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আড়িপাতার অভিযোগে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্তের রিপোর্ট যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে অভিযোগগুলি অত্যন্ত গুরুতর। সত্য সামনে আসা দরকার। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা।

যদিও এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে রাজি হয়নি কেন্দ্র। এই ঘটনা প্রকারান্তরে স্বীকার করেনি আবার অস্বীকার করেনি। সংসদে আলোচনায় রাজি হচ্ছে না কেন্দ্র। পেগাসাস মামলায় অনেকেই শীর্ষ আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হোক বলে দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিক এন রাম, এডিটর্স গিল্ড-সহ বেশ কিছু আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে সরাসরি নোটিশ না পাঠালেও মোদি সরকারের কী বক্তব্য, তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত।

আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে মোট ৯টি আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। আদালতের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবেদনকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘সরকারকে এই আবেদনের কপি পাঠান। দেখি সরকার কী বলে!’

সংসদ থেকে সড়ক—পেগাসাস ইস্যুতে সোচ্চার বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্ট ‘পেগাসাস ইস্যুতে মন্তব্য করায় প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট বিরোধীরা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন আবেদনকারীরা। তাঁদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনার প্রশ্ন, ‘ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ করছেন, অথচ থানায় এফআইআর করেননি কেন? দু’বছর আগে, ২০১৯ সালেও তো একই ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। এতদিন বাদে ফের নতুন করে বিষয়টি উঠল কেন?’

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এদিন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। আবেদনকারীদের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট আসার আগে নজরদারির বিষয়টি এতটা গুরুতর, জানা ছিল না। তাঁর বক্তব্য, ‘পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ঘটনায় নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা বিপদের মুখে। তাছাড়া ঘটনাটি শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও হয়েছে। কয়েকটি দেশ তদন্তও শুরু করেছে। তাহলে আমাদের এখানে হবে না কেন? যেখানে একমাত্র সরকারই এই স্পাইওয়্যার কিনতে পারে বলে স্পষ্ট করেছে এনএসও।’ অন্য এক আবেদনকারীর হয়ে আইনজীবী শ্যাম দিওয়ানও সওয়াল করেন, ‘ফোনে এভাবে নজরদারি চলতে পারে না।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকার মানে তো রাজ্য সরকারও হতে পারে। তবে হ্যাঁ, সত্য সামনে আসা দরকার। কার কার নাম ওই তালিকায় আছে সঠিক জানি না।'কিন্তু সংবাদপত্র মারফৎ তিনি অনেক কিছুই জানতে পারছেন বলে জানান। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিবাদী করে মামলা করেছেন আইনজীবী মনোহরলাল শর্মা। তাঁর বক্তব্য‌ শুনে প্রধান বিচারপতি সাফ জানান, আপনি সরাসরি ব্যক্তির নাম উল্লেখ করছেন। কিন্তু এভাবে তো সরাসরি নোটিস পাঠাতে পারি না। তবে সরকারের বক্তব্য কী, সেটাও জানা দরকার।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in