Agnipath: দিল্লিতে SFI, DYFI-এর অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভ আটকালো পুলিশ - ছাত্র যুব নেতৃত্ব আটক

মিছিল থেকে MP এ আর রহিম, DYFI সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, SFI সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, DYFI দিল্লি সম্পাদক আমান সাইনি, SFI সম্পাদক প্রীতিশ মেনন এবং JNU সভাপতি ঐশী ঘোষকে আটক করা হয়েছে।
দিল্লিতে অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভে এসএফআই ডিওয়াইএফআই
দিল্লিতে অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভে এসএফআই ডিওয়াইএফআইছবি সৌজন্য এসএফআই

অগ্নিপথ প্রকল্প-র বিরোধিতা এবং প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখালো এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। এদিন এই দুই বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। যদিও মিছিলের মাঝপথেই পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল আটকে দেওয়া হয় এবং একাধিক নেতৃত্বকে আটক করা হয়।

এই ঘটনার পর এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই-এর পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশি আক্রমণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। দুই বাম সংগঠনের অভিযোগ, “প্রতিবাদী যুবকদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বর্বরতার নিন্দা করা উচিত। আজ, দিল্লি পুলিশ DYFI সভাপতি এবং এআর সহ সংসদের দিকে মিছিল করা কর্মীদের নির্মমভাবে আটক করেছে। সংগঠনের সদস্যরা এদিন পুলিশি হয়রানির শিকার হন, যেখানে মহিলা সদস্যরা পুরুষ কনস্টেবলদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং একজনের জামাকাপড় ছিঁড়ে গেছে। নৃশংসতা এতটাই ছিল যে রাজ্যসভার একজন সাংসদও রেহাই পাননি।

এদিন মিছিল থেকে সাংসদ এ আর রহিম, ডিওয়াইএফআই সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, ডিওয়াইএফআই দিল্লি সম্পাদক আমান সাইনি, এসএফআই সম্পাদক প্রীতিশ মেনন এবং জেএনইউএসইউ সভাপতি ঐশী ঘোষকে আটক করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুবকদের কণ্ঠের উপর এই দমন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী প্রকৃতিকে তুলে ধরে। আমরা কমরেড সাগর গৌতম - এসএফআই সাহারানপুর, ইউপি-র সেক্রেটারি এবং কমরেড নিরংকুশ নাথ - এসএফআই আসামের সেক্রেটারি, যাকে তিনসুকিয়ায় একটি সম্মেলন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার নিন্দা জানাই৷ গতকাল সেখানে অগ্নিপথ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

বাম ছাত্র এবং যুব সংগঠনের মতে, সেনাবাহিনীতে নতুন নিয়োগ নীতি জাতির উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবকদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই প্রকল্পে প্রতি বছর ৩৫ হাজার নিয়োগ করা হবে। যেখানে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ১,০৪,৬৫৩ টি পদ শূন্য ছিল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার চার বছরের স্বল্প-মেয়াদী নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে তিন-চতুর্থাংশ সৈনিককে পেনশন বা গ্র্যাচুইটি ছাড়াই অবসরে যাবেন। এই নীতি আমাদের জাতির সার্বভৌমত্বের জন্য সরাসরি হুমকি। সামরিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নিয়োগ প্রচেষ্টা বেসরকারীকরণের আরেকটি প্রচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয় এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই সরকারের এই পরিকল্পনাকে প্রতিহত করবে। আমরা ছাত্র, যুবক এবং সমস্ত প্রগতিশীল সংগঠনকে পুলিশি বর্বরতা এবং প্রহসনমূলক অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাই।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in