তামিলনাড়ুর পর উত্তরপ্রদেশে তৈরি হল করোনা মাতার মন্দির, পাঁচ দিনের মধ্যে ভেঙে দিল পুলিশ

উত্তরপ্রদেশের পর্তপগর জেলার শুক্লাপুর গ্রামে তৈরি হয়েছে ‘করোনা মাতা’র মন্দির। নিমগাছের তলায় অধিষ্ঠিত শ্বেতবর্ণ সেই দেবীর চার হাত। মুখে মাস্ক।
করোনা মাতার মন্দির
করোনা মাতার মন্দিরছবি- সংগৃহীত

করোনা মহামারীতে গত দেড় বছর ধরে মানুষ যখন জর্জরিত, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, ওষুধ-ভ্যাকসিনের অভাব, তখন মানুষ বিজ্ঞান নয়, সেই ভগবানেরই শরণাপন্ন হল। গত মাসে তামিলনাড়ুর করোনাদেবীর মন্দিরের কথা শোনা গিয়েছিল। এবার যোগীরাজ্যে তৈরি হল করোনা মন্দির। যদিও সেই মন্দির তৈরির পাঁচদিনের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হল।

উত্তরপ্রদেশের পর্তপগর জেলার শুক্লাপুর গ্রামে তৈরি হয়েছে ‘করোনা মাতা’র মন্দির। নিমগাছের তলায় অধিষ্ঠিত শ্বেতবর্ণ সেই দেবীর চার হাত। মুখে মাস্ক। এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার প্রধান নিয়মই হল অবশ্যই কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে, মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে তবেই পুজো দেওয়া যাবে। পাশাপাশি ফল, ফুল, মিষ্টি বা যা-ই দেবীকে উৎসর্গ করা হোক না কেন, তা সবই ‌হলুদ রঙের হতে হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশই মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, বেআইনিভাবেই ওই এলাকায় এই নির্মাণ কাজ হয়েছিল। আর এই অবৈধ জমির সঙ্গে যুক্ত কোনও পক্ষই মন্দিরটি ভেঙেছে। প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তব নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে জমিটির মালিকানা ছিল নগেশ কুমার শ্রীবাস্তব ও জয়প্রকাশ শ্রীবাস্তবেরও। কিন্তু নগেশের অভিযোগ, জমি হাতানোর জন্যই লোকেশ স্থানীয়দের থেকে চাঁদা তুলেই মন্দিরটি নাকি গড়েছিলেন। ফলে পাঁচদিনের মধ্যে মন্দির ভেঙে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার লোকেরা।

করোনা মাতার মন্দির
Tamil Nadu: কোভিড রুখতে “করোনা দেবী”-র পুজো

কেন হঠাৎ এই মন্দির তৈরি হল? এক গ্রামবাসী জানালেন, সবাই মিলে এই অতিমারিতে এই দেবীর আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর যাতে সে আঘাত না হানতে পারে তাই এই মন্দির। মন্দিরে পুজোর দায়িত্বে ছিলেন রাধে শ্যাম বর্মা। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বটুর থেকে অদূরে কামাতচিপুরম গ্রামে তৈরি হয় প্রথম করোনা মন্দির। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেড় ফুটের গ্র্যানাইট পাথরের তৈরি প্রতিমার পরনে টকটকে লাল রঙের শাড়ি। একহাতে ত্রিশূল।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in