

ঠিক ৯ মাস পরে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য এই বিধানসভা নির্বাচন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যসভায় নিজেদের সদস্য সংখ্যা পোক্ত করার জন্য। ইতিমধ্যেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বানাতে ব্যর্থ। অন্যান্য রাজ্যগুলোতে এই পরাজয়ের হারের মাত্রা কমাতে না পারলে সমূ্হ বিপদ দেখছে গেরুয়া শিবির।
২০১৮ সালের পর থেকে বেশিরভাগ বিধানসভা নির্বাচনে একের পর এক খারাপ ফল আসতে শুরু করেছে। এর প্রভাব সরাসরি রাজ্যসভায় পড়তে চলেছে। আগামী ২০২২ সালের জুলাই মাসে রাজ্যসভায় এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে ভয়ের সঞ্চার শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে ফলাফল হয়েছিল এবারও তার পুনরাবৃত্তি দরকার বিজেপির। সেবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফলের কারণে ৪০৩ টি আসনের মধ্যে ৩২৫টি আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বর্তমানে অবশ্য কোভিডের কারণে ও কৃষক বিরোধী আইনের ফলে তা অনেকটাই অসম্ভব। উত্তরপ্রদেশে দলীয় নেতৃত্বের তরফে গত এক সপ্তাহ ধরে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে রাজ্যসভার ২৪৫ জন সাংসদের মধ্যে ৭৫ জন অবসর নেবেন। বিজেপি শাসিত বেশ কিছু রাজ্যের সাংসদ রয়েছেন এই অবসরগ্রহণের তালিকায়। যার মধ্যে ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড রয়েছে। এই ৭৫টি আসনের মধ্যে ১১ টি উত্তরপ্রদেশের। এই আসনগুলোতে পরের বছর জুলাই মাসে নতুন সাংসদ আসবেন। তার আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন