গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর রাজ্যের বাইরে রাজনৈতিক বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরার পর এবার ঘাসফুলের নজরে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গড়। প্রিয়াঙ্কার আস্থাভাজন বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের নেতা ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। কিন্তু তিনিও এবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এমনই আশঙ্কা করছেন কংগ্রেস নেতারা। আর যদি তা ঘটে, তাতে ভোটকুশলী পিকে-র হাত দেখছেন কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, ললিতেশ তৃণমূলে যোগ দিলে তা গান্ধী পরিবারের পক্ষে তা অস্বস্তির বিষয় হয়ে উঠবে। কারণ, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর প্রপৌত্র ললিতেশ উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের অন্যতম ব্রাহ্মণ মুখ হিসেবে পরিচিত। কয়েকদিন আগে তিনি পদত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, গোয়া, ত্রিপুরায় কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। গোয়াতে দুই বিক্ষুব্ধ নেতাকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। ত্রিপুরায় নতুন প্রদেশ সভাপতি, পাঁচজনকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস হাইকমান্ড খবর পেয়েছে, তৃণমূল উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নেতাদের দলে টানতে চাইছে।
কংগ্রেস নেতারা জানতেন, ললিতেশ সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, ললিতেশের সঙ্গে পিকের মাধ্যমে তৃণমূল নেতৃত্বের যোগাযোগ হয়েছে। তাঁকে উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। তাতে তৃণমূলের লাভ না হলেও কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়বে।
দলীয় সূত্রের খবর, শনিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকেই আসল কংগ্রেস বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। কংগ্রেসের ক্ষতি করছেন।
ললিতেশ ২০১২-তে কংগ্রেসের বিধায়ক হন। ২০১৯-এ লোকসভায় প্রার্থী হলেও হেরে যান। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরে প্রিয়ঙ্কাকে প্রথমে এআইসিসিতে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পান। তখন থেকেই ললিতেশ রাজ্যে ‘টিম প্রিয়ঙ্কা’-র সদস্য বলে পরিচিত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।