বিহারের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও ভোটের আগে হাজির AIMIM, বিজেপির বি-টিম বলে কটাক্ষ বিরোধীদের

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, বিজেপি-বিরোধী সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে চিড় ধারানোই তাঁর আসল উদ্দেশ্য। এই প্রশ্ন বঙ্গে নির্বাচনের সময়ও উঠেছিল।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসি
আসাদউদ্দিন ওয়েইসিফাইল চিত্র
Published on

বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি জনসভা করে নিজেদের উপস্থিতি প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এবার তিনি আসর জমাতে চাইছেন উত্তরপ্রদেশেও। আগামী বছরের শুরুতেই যোগী-রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, বিজেপি-বিরোধী সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে চিড় ধারানোই তাঁর আসল উদ্দেশ্য। এই প্রশ্ন বঙ্গে নির্বাচনের সময়ও উঠেছিল। মিমকে বিজেপির বি-টিম বলে কটাক্ষ করছেন অনেকেই।

শুধু সংখ্যালঘু নন, তিনি যেভাবে উত্তরপ্রদেশে প্রচার শুরু করেছেন, তাতে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, তিনি সংখ্যালঘু এবং যাদব ভোট এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চান না। এদিকে, উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের পুলিশ ওয়েইসির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ওয়েইসি অশালীন মন্তব্য করেছেন। জনসভায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া এবং কোভিড বিধি অমান্য করার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অভিযোগ দায়ের করার ফলে রাজনৈতিক ভাবে ওয়েইসিই লাভবান হবেন। সংখ্যালঘুদের মধ্যে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গুরুত্ব বাড়বে। প্রকারান্তরে বিরোধী দলগুলিও মনে করছে, এমনটা শুধু ওয়েইসি নন, যোগী আদিত্যনাথও চান।

প্রায় ১০০টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ভাবছে মিম। এই আসনগুলিতে সংখ্যালঘু ভোট কাটতে পারলে ক্ষতি হবে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির, আর লাভের খাতা ভরবে বিজেপির। রাজ্যের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। যাদব ৯ থেকে ১০ শতাংশ। ২০২২-এ এই দুই সম্প্রদায়ের ভোট একজোট হলেই সপার ভোটব্যাংক ভরবে।

উত্তরপ্রদেশের জনসভায় ওয়েইসি বলেছেন, রাজ্যে যুগ যুগ ধরে সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা করেছে বিজেপি, এসপি, বিএসপি, কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি চেষ্টা করছেন ধর্মনিরপেক্ষতার কাঠামো ভেঙে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে। তবে শুধু বিজেপি নয়, ফৈজাবাদ, বরাবাঁকি এবং সুলতানপুরের তিনটি জনসভায় অ-বিজেপি দলগুলির বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in