

বাবা সিদ্দিকির পর এবার বিষ্ণোই গ্যাং-র নজরে কৌতুক শিল্পী তথা বিগবস ১৭-র চ্যাম্পিয়ন মুনাওয়ার ফারুকি! এমনই খবর প্রকাশ্যে আসছে। সলমন খান ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মুনাওয়ার ফারুকি। নিহত বাবা সিদ্দিকিও সলমন খান ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর সলমন খানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। সলমন সঞ্চালিত বিগবস ১৭-র বিজয়ী হয়েছিলেন মুনাওয়ার ফারুকি। সূত্রের খবর, এর আগেও নাকি মুনাওয়ারের উপর হামলার ছক কষেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। গত সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানের জন্য যান ফারুকি। তাঁর পিছু নেয় বিষ্ণোই গ্যাং-র দুই দুষ্কৃতি। ফারুকি যে বিমানে ছিলেন, যে হোটেলে উঠেছিলেন সেখানে ছিল দুই দুষ্কৃতি। কিন্তু সেই সময় হামলা করতে ব্যর্থ হয় বিষ্ণোই গ্যাং। যে কোনও সময়ে মুনাওয়ারের উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে বাবা সিদ্দিকির হত্যার পরই সালমান খানকে বিষ্ণোইদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হরনাথ সিং যাদব। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, "সলমন খান, যে কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোই সমাজ দেবতা রূপে পুজো করেন, তাকে শিকার করে আপনি রান্না করে খেয়েছেন। এতে বিষ্ণোই সমাজের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আপনি বড় অভিনেতা, দেশের প্রচুর মানুষ আপনাকে সম্মান করেন। আমি আপনাকে একটা উপদেশ দিচ্ছি, নিজের এই ভুলের জন্য বিষ্ণোই সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত আপনার"।
প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে নিজের দপ্তরের সামনে বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। সেই সময়ই দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত হন তিনি। একটি গুলি তাঁর পেটে, একটি বুকে ও একটি পায়ে লাগে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। 'বিগবস ১৮'-র শ্যুটিং ছেড়ে বাবা সিদ্দিকিকে দেখতে যান সালমান খান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন