
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলায়, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তবে অধীর জানিয়েছে, এ জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কিন্তু অন্য কারো কাছে নয়৷
এ প্রসঙ্গে সর্ব-ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যেমে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, ভুল করে মুখ ফসকে রাষ্ট্রপত্নী কথাটি বলেছিলাম। আমি বাঙালি হিন্দিভাষী নই। তাই 'স্লিপ অফ ট্যাং' হয়ে গেছে। আমি কখনই দেশের সংবিধানিক পদকে অপমান করতে চাইনি। স্বপ্নেও এমনটা করার কথা ভাবতে পারিনি।'
অধীর বলেন, 'একবার নয়, ১০০ বার বলেছি যে- আমি ভুল করেছি। আমি কী করতে পারি? একজন ভুল করতে পারে। আমি একজন বাঙালি, হিন্দি আমার মাতৃভাষা নয়। আমি হিন্দিতে অভ্যস্ত নই। এরপরেও আমাদের রাষ্ট্রপতি যদি ক্ষুব্ধ থাকেন, আমি তার সাথে দেখা করব। তাঁর সঙ্গে কথা বলব এবং তাঁকে বুঝিয়ে বলব। আগামীতেও আমি এই উচ্চপদের কাউকে অসম্মান করব না।'
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধীকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি (ED)। এই ইস্যুতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি কংগ্রেসের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে ?- সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন। তিনি দেশের প্রতিটি মানুষের রাষ্ট্রপতি। এই সময় তিনি রাষ্ট্রপতি না বলে দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে উল্লেখ করেন।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সংসদের লোকসভা ও রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে ওঠে। বিজেপি দাবি তোলে, অধীরকে ক্ষমা চাইতে হবে। দুঃখপ্রকাশ করতে হবে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অধীরের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, 'রাষ্ট্রপতিকে এভাবে সম্বোধন করে শুধু একটি সংবিধানিক পদকেই অপমান করা হয়নি, এর মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা মহিলাকেও অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে এভাবে অপমানের অর্থ হল দেশের মহিলাদের অপমান করা। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্য নারীবিরোধী ও দলিত বিরোধী।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন