

বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির (Gautam Adani) ঋণের পরিমাণ বেড়ে হতে চলেছে ২.৬০ লক্ষ কোটি টাকা! জানা যাচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা হোলকিমের (Holcim) থেকে ‘অম্বুজা সিমেন্ট’ (Ambuja) কিনতে চলেছেন গৌতম আদানি। আর এজন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চলেছেন তিনি। যার জেরে তাঁর (Adani) ঋণের পরিমাণ ২.৬০ লক্ষ কোটি টাকার উপরে চলে যাবে বলে জানিয়েছে ক্রেডিট সুইস (Credit Suisse)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ বছরে গৌতম আদানির ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.২ লক্ষ কোটি টাকা। এবার তাতে, আরও ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ যোগ হতে চলেছে। আদানি গোষ্ঠীর মোট পাঁচটি সংস্থা রয়েছে - আদানি গ্রিন (Adani Green), আদানি ট্রান্সমিশন (Adani Trans), আদানি পাওয়ার (Adani Power), আদানি বিমানবন্দর (Adani Port), ও আদানি এন্টারপ্রাইজ (Adani Enterprise)। প্রতি বছরই এই সংস্থাগুলির ঋণের বোঝা বেড়ে চলেছে।
ক্রেডিট সুইসের তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে, ঋণের পরিমাণ বাড়লেও আদানি গ্রুপ দীর্ঘ মেয়াদী বন্ডের মাধ্যমে তাঁদের ঋণকে বহুমুখী করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছর থেকে গত পাঁচ বছরে যে ১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে আদানি গ্রুপ, সেই ঋণের মাত্র ২৬ শতাংশ ম্যাচুউরিটির আওতার মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে।
গৌতম আদানির ব্যবসার মূল ভিত্তি হল 'অধিগ্রহণ'। এজন্য, প্রতিবছর ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিচ্ছেন আদানি। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, 'অতি-অধিগ্রহণ' নীতির ফলেই ঋণের জালে ডুবছেন গৌতম আদানি।
সম্প্রতি, দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কিং সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্কিং অফ ইন্ডিয়া বা SBI-এর কাছ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন গৌতম আদানি। নিজের তাপবিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি প্রোজেক্টের জন্য এই ঋণ নেন তিনি।
এদিকে, হংকংয়ের নোমুরা হোল্ডিংসের এর বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই আদানি গ্রীন এনার্জিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে আবুধাবি-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানি (IHC)। এরপরে আদানি গ্রুপের ঋণ ও মূলধনের অনুপাত কমে যাবে। আগামী আর্থিক বছরের পূর্বে আদানি গ্রুপের ঋণ ও মূলধনের ব্যবধান ৯৫.৩ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশে নেমে আসবে। ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানির এই বিনিয়োগের প্রভাব প্রতিফলিত হবে, যখন কোম্পানি তার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ব্যালেন্স শীট প্রকাশ করবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন