

দেশের ছ'টি বিমানবন্দরে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাওয়া আদানি গোষ্ঠী এরই মধ্যে বিতর্কে জড়িয়েছে। কয়েকদিন আগে লগ্নি নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে ছিল সংস্থা। দরপত্রের মাধ্যমে ওই গোষ্ঠী এই দায়িত্ব পেয়েছিল। এবার বিতর্ক বাঁধল ব্র্যান্ডিং নিয়ে। চলতি বছরের গোড়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এএআই তদন্ত করে। তাতে দেখা যায়, তিনটি বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডিং ও লোগো সংক্রান্ত চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে। এব্যাপারে গত ২৯ জুন একটি রিপোর্ট পেশ হয়। তথ্য জানার অধিকার আইনে এইসব তথ্য উঠে এসেছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এএআইয়ের নির্দেশে আমদাবাদ বিমানবন্দরের ব্র্যান্ডিং ও লোগোয় প্রয়োজনীয় বদল শেষ হয়েছে। ম্যাঙ্গালুরু ও লখনউয়ে কাজ চলছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দরপত্রের মাধ্যমে তিন বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় আদানি গোষ্ঠী। তাদের তিন সংস্থা আদানি লখনউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এএলআইএএল), আদানি ম্যাঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এএমআইএএল) এবং আদানি আমদাবাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এএআইএএল) এএআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
গত ডিসেম্বরে এএআই খেয়াল করে যে, চুক্তিপত্র অনুযায়ী তিন বিমানবন্দরের ব্র্যান্ডিং এবং বিভিন্ন ডিসপ্লে করা হচ্ছে না। সেগুলি ঠিক করতে তারা তিন সংস্থাকে চিঠি দিলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত চুক্তি ভাঙেনি। এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন বিমানবন্দরের জন্য আদানি গোষ্ঠীর এক জন করে আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্টস (ইন্ডিয়া) লিমিটেডের একজন এবং এএআইয়ের দু’জন করে প্রতিনিধি নিয়ে তিনটি করে কমিটি গঠন করা হয়।
গত জানুয়ারিতে লখনউ বিমানবন্দরের কমিটি যে রিপোর্ট দেয় তাতে জানানো হয়, বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথে হোর্ডিংয়ে আদানি এয়ারপোর্টসের নামও রয়েছে। অথচ, চুক্তি অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলি সর্দার বল্লভভাই পটেল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, লখনউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ও ম্যাঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে সমান গুরুত্ব দিয়ে আদানিদের সংস্থার সঙ্গে এএআইয়ের নাম ও লোগো রাখা হয়নি।
আমদাবাদ এবং ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের কমিটি যে রিপোর্ট দেয়, তাতেও একই ধরনের অভিযোগ দেখা যায়। আমদাবাদ বিমানবন্দরের কমিটি জানায়, এএআইয়ের লোগোর তুলনায় আদানি গোষ্ঠীর লোগোর ছ’গুণ বড়। আদানি গোষ্ঠীর মুখপাত্রের দাবি, এখন তাঁদের সংস্থা এবং এএআইয়ের লোগো সমান গুরুত্ব দিয়ে রাখা রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন