

নমাজ পড়তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল একদল হিন্দুত্ববাদীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের ১২ নম্বর সেক্টরে। এই ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কী ঘটেছিল? শুক্রবার ওই এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন মানুষ জুম্মাবারের নমাজ আদায় করছিলেন। প্রশাসনের অনুমোদিত খোলা জায়গাতেই নমাজ পড়ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন স্থানীয় কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ওইদিন নমাজ পড়ার সময় তখন একদল লোক সেখানে জড়ো হয়ে তাঁদের নমাজ পড়তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তখন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজন ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে প্রকাশ্যে নমাজ পড়া নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে গুরুগ্রাম প্রশাসন নমাজ পড়ার জন্য জায়গা নির্ধারণ করে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সেই মতোই সেখানে নমাজ পড়তেন। কিন্তু তা মানতে পারেনি এলাকার হিন্দু সংগঠন।
গুরুগ্রামের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অঙ্কিতা চৌধুরী বলেন, 'এখানে দু’ বছর ধরে নমাজ পড়া চলছে। কিছু ব্যক্তি এসে তা বন্ধ করার চেষ্টা করে।আমরা ওদের গোলমাল না করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও পুলিশ-প্রশাসনের কথা ওরা শোনেনি। তাই ওদের আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন