

বর্তমান কোভিফ পরিস্থিতিটে নিজেদের 'স্কেপগোট (বলির ছাগল)' বলে উল্লেখ করে রাজধানী লখনউ থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ে ১৪ জন চিকিৎসক পদত্যাগ করলেন। তাঁরা উন্নাওয়ে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। ১৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১১ জন বুধবার সন্ধ্যায় উন্নাওর চিফ মেডিক্যাল অফিসারের অফিসে গিয়ে তাঁর ডেপুটিকে চিঠি দেন।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, মহামারীতে কঠোর পরিশ্রম করার পরেও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পদত্যাগ করা ডাঃ শারদ বৈশ্য বলেন, আমরা ২৪ ঘন্টা করছি। কিন্তু আমাদের 'কাজ না করার' জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।
জেলাশাসক, অন্যান্য কর্মকর্তা, এসডিএম এবং তহশিলদার সকলেই আমাদের কাজের তদারকি করছেন, মিটিং করছেন। আমাদের প্রতিনিধিদল দুপুরে বের হন, কোভিড পজিটিভ রোগীদের খোঁজখবর রাখেন, নমুনা তৈরি করেন, ওষুধ বিতরণ করেন। তারপর ফিরে আসার পর আমাদের এসডিএমের কাছে পর্যালোচনা সভায় আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।
৩০ কিলোমিটার দূরে কেউ থাকলে এই রিভিউ মিটিংয়ের জন্য তাঁকে আবার ৩০ কিলোমিটার ফেরত আসতে হয়। আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে আমরা কাজ করেছি। মনে হচ্ছে যেন আমরা কাজ করছি না বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। উন্নাওয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছি। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে। সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন