

বিজেপির মত আপের নির্বাচনে এবার তুরুপের তাস রাম মন্দির। উত্তরপ্রদেশে গোয়ায় এবার লড়ছে আপ। যদিও আগেরবার গোয়ায় একটিও আসন পায়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। উপরন্তু তারা জামানত খুইয়েছে। তবুও বিরোধী ভোট ভাগের অঙ্কে ভাগ বসাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামছে তারা। একই পথের পথিক তৃণমূল কংগ্রেসও। তারাও গতবর একটি আসনও পায়নি।
ইতিমধ্যে, বয়স্কদের সম্পূর্ণ বিনা খরচায় রাম মন্দির দর্শনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আপ। বাংলায় তৃণমূল সরকার যেমন পূজামণ্ডপে ঢালাও খরচ করে। একইভাবে আপও রাম মন্দিরকে নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে সামনে রাখছে।
দক্ষিণ দিল্লিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো তৈরি শুরু হয়েছে প্লাইউড ও কাঠ দিয়ে তৈরি বিশাল আকারের রাম মন্দির। সরকারি খরচেই মন্দির তৈরি হচ্ছে। সেই মন্দিরে বসেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিওয়ালি পালন করবেন। নিজের নির্বাচনী প্রচারের রাম মন্দিরকেই তারা সামনে রাখছে। সে বিষয়টি গোপন করেনি আপ।
উত্তরপ্রদেশে গিয়ে রাম মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন যে, ক্ষমতায় এলে বয়স্কদের বিনা খরচায় রাম মন্দির দর্শনের সুযোগ করে দেবেন। দিল্লিতে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে 'তীর্থযাত্রা যোজনা প্রকল্প'। বিজেপি প্রায় সব নির্বাচনে রাম মন্দিরকে ইস্যু করে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করে। এখন আম আদমি পার্টিও একই পথে হাঁটছে।
গোয়ার মতো উত্তরপ্রদেশে ৪০৩টি আসনে লড়বে গোয়া, জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অবশ্য এই কর্মসূচির বিরোধিতা করে টুইট করে বলেন, বিজেপি ধর্মীয় তোষণ করে যে রাজনীতি করে, আপ তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। ধর্মকে রাষ্ট্রের কর্মসূচিতে যুক্ত করা নিয়ে সংবিধানের যে বিধিনিষেধ আছে, তার তোয়াক্কা করে না বিজেপি। সংবিধানের তোয়াক্কা না করে একই পথে চলছে দিল্লির আপও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন